কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীর চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে চরাঞ্চলে শুরু হয়েছে বাদাম তোলার মহোৎসব। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।
সরেজমিন উপজেলার অষ্টমীরচর, নয়ারহাট ও চিলমারী ইউনিয়নের চরগুলো ঘুরে দেখা গেছে দিগন্তজুড়ে বাদাম আর বাদাম ক্ষেত। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ কৃষাণ- কৃষাণিরা বাদাম তোলা ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নয়ারহাট ইউনিয়নের উত্তর ফেইচকা গ্রামের কৃষক মোঃ শাহিন মিয়া (৪০) জানান, চলতি মৌসুমে তার ৬৫শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ও পরামর্শে বাদাম চাষ করেছেন। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ৬৫শতাংশ জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন বাজারে মণ প্রতি ১৮শ টাকা বিক্রি হলে তার প্রায় ৩০/৩৫হাজার টাকা লাভ হবে ।প্রতিবারে বাদাম আবাদ করছি বাদাম বিত্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে এবং ছেলে মেয়ের খেলা পড়ার খরচ করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।এবার বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১হাজার ৩শ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে এর মধ্যেই ১৪০৬হেক্টর জমির বাদার অর্জিত হয়েছে। তবে শুধু বাদাম চাষই নয় পাশাপাশি চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে মুসুর ডাল, খেসারি, সোলা, সুলটি ও মাসকালাই।
নয়ার হাট ইউনিয়নের উত্তর ফেইচকাএলাকার কৃষাণী এছমতারা জানান,চরে এবারে বাদাম চাষ ভালো হয়েছে আমি প্রতিদিন বাদাম তুলে ২০০ থেকে ৩০০ শত টাকা হাজিরা পাচ্ছি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, স্থানীয় ভাবে উন্নত জাতের বাদাম বাড়ি ৮,৯,ও বিনা জাতের বাদাম গুলো আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং বাদামের গাছ গুলোতে পোকা মাকর আক্রমণ না করায় এবারে বাদামের ফলন ভালো হয়েছে আমরা সব সময় কৃষকের সাথে যোগাযোগ রাখছি আরো কি ভাবে বাদামের আবাদ ভালো করা যায়। এবিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা বাদাম উত্ত্বোলন করছেন এবং কেউ কেউ বীজ সংরক্ষণ করছেন।