ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়তাহার গ্রামের হত-দরিদ্র ভ্যানচালক গোলাম মোস্তফা তার মেয়ে শারমিন আক্তার সুমিকে পরিবারের অভাব অনটন লেগে থাকার কারণে অল্প বয়সে দিয়েছিল বিয়ে।
পিতা ভ্যানচালক হওয়াতে সুমির হাতের মেহেদির রঙ না শুকাতেই শ্বামী হাতে ধরিয়ে দেয় তালাক পত্র, অপমানে জর্জরিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে এসেছিল বাবার বাড়িতে।
হাজারো কষ্ট বুকে চেপে রেখে নিজেকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মনোযোগ দিয়ে আবারো পড়ালেখা শুরু করেছিলো সুমি, টিকে গেলো রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায়।
তবে সুমির বাবা হত-দরিদ্র ভ্যানচালক গোলাম মোস্তফা মেয়েকে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার খরচ দিবে কিভাবে? জোগাতে পারবে কিনা সেই ভাবনারও অন্ত নেই। এমন অনেক পোস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াতে নজরে আসে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়পুরহাটের সন্তান ফয়সাল আলিমের।
পরবর্তীতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সুমির পরিবারের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা পাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২১এপ্রিল) বিকেলে তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে জানায় শুভেচ্ছা, তুলে দেন পিতা মাতার হাতে নগদ অর্থ ও সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি।
এছাড়াও সমাজের বিত্তবানেরাসহ এগিয়ে এসেছে অনেকেই এখন অনেকটাই স্বস্তিরতার অনুভব, বলেন সুমির বাবা গোলাম মোস্তফা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *