ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি শহরের ফরিদপুর পট্টি এলাকার আবরার হোসেন’র বাড়ি দ্বিতীয় তলার ফ্লাটে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়।ফ্লাটের ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিন ও পারভীন দম্পত্তি ঘটনার দিন বাসায় ছিলেন না। এই সুযোগে চোর চক্রটি দরজার তালার কয়রা কেটে ভেতরে ঢুকে শাড়ী-কাপরসহ ৫০ হাজার টাকা নগদ ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিনের বরাতে এতথ্য নিশ্চিত করেছে, ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফ্লাটের দ্বিতীয় তলায় থাকেন মো. মহিউদ্দিন শেখ। তিনি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার ৪নং কুড়িয়ানা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক পদে চাকুরী করেন। তার স্ত্রী পারভীন সুলতানা মেরী ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠী ইউনিয়নের বহরমপুর স: প্রা: বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত।
মহিউদ্দিন বলেন, ‘চাকুরীর সুবাদে আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেই প্রতিদিন ভোরে বাসা থেকে বের হই এবং সন্ধ্যায় বাসায় আসি। আমার দুই সন্তানের একজন ঝালকাঠির একটি মাদ্রাসায় হোষ্টেলে থেকে পড়াশুনা করে। আর মেয়েটি বরিশাল সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে পরাশুনা করে। ঘটনারদিন আমরা কেউ বাসায় ছিলামনা। আমার শশুর অসুস্থ থাকায় স্ত্রী সন্তান ১দিন আগে থেকেই বরিশালে অবস্থান করছিলো।
ঐ বাড়ীর তৃতীয় তলার ফ্লাটে থাকেন গৃহিনী রোজী আক্তার। তিনি বলেন, ঘটনার দিন বিকেল সারে ৫টার দিকে মহিউদ্দিন সাহেবকে খুজতে আসেন জনৈক ব্যাক্তি। তিনি দ্বোতলার ফ্লাটের দরজা খোলা দেখে ডাকাডাকি করে কাউকে না পেয়ে তিনতলায় এসে আমাকে খবর দেয়। আমি ঐ ফ্লাটের পারভীন আপাকে ফোনে ঘটনা জানাই, তারপর তারা এসে ভেতরে ঢুকে দেখেন সব তচনছ।
মহিউদ্দিনের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা পারভীন সুলতানা মেরী বলেন, ‘প্রতিবেশি এবং বাড়ির মালিকের কাছ থেকে মুঠোফোনে ঘর চুরির খবর পেয়ে সন্ধ্যায় আমরা বাসায় এসে দেখতে পাই দরজার তালার কয়রা কেটে ভেতরে ৩টি রুম তচনছ করে রেখে গেছে চোর চক্রটি। এরপরেই থানা পুলিশকে খবর দেই। ষ্টিলের আলমারীতে পৃথক দুই জায়গায় থাকা ৫০ হাজার টাকা, স্বর্নের চেইন, আংটি, কানের দুল সব নিয়ে গেছে। যার ওজন ২ ভরি।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শর করেছে পুলিশ। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা হিসেবে রুজু করা হবে। আর শহরে চুরি বন্ধে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।