ঝালকাঠি প্রতিনিধ: ঝালকাঠিতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টায় ছাত্রের ওপর শিক্ষকের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় তোলপাড় শুরু। নলছিঠি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী প্রতাপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র শুখদেব শীল(১৩) এ হামলার শিকার হয়। হামলাকারী ঐ স্কুলের শ্রেনী শিক্ষক মো. মশিউর রহমান। কারন হিসাবে জানা যায়, ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি করার উদেশ্যে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে রাজি না হওয়ায় এ হামলা। আহত শুখদেব শীল জেলার নলছিঠি উপজেলার ১নং ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের বাসিন্ধা সমীর শীলের ছেলে।অভিযোগ সুত্রে জানা যায় , ১১জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় রোজকার মত স্কুলে হাজির থাকত মেধাবী ছাত্র শুখদেব শীল, বরাবরের মত শুখদেব মেধাবী ও ভাল ছাত্র হিসাবে পরিচিতি রয়েছে। প্রতি ক্লাসে রোল নাম্বার সবসময় ১ থাকত। ইতিপুর্বে ৫ম শ্রেনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সহপাটি’রা প্রায়ই সময়ই গরীব ঘরের মেধাবী ছাত্র শুখদেবকে সহ্য করতে পারত না, তাই তাকে প্রায়ই সময় দুষ্ঠ ছেলে’রা তাকে জ¦ালাতন করত। ত্রাই জেরে , শুখদেব নালিশ করে সহপাটি’র বিরুদ্ধে শ্রেণী শিক্ষক মশিউর রহমানের কাছে। অসভ্য মশিউর মাস্টার ক্ষিপ্ত হয়ে কিল, ঘুসি, চড়,থাপ্পড় মেরে ছাত্রটিকে ফুলা-জখম করে, মার খাওয়ার এক পর্যায়ে শিশু মেধাবী ছাত্র শুখদেব (১৩) স্কুলের বারান্দায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। কান্নাকাটি’র আওয়াজ শুনে সহপাটিরা স্থানীয় প্রতাপ বাজারে নরসুন্দর এর দোকান চালায় শুখদেবের বাবা সমীর শীলকে খবর দেয়, স্থানীয়রাসহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা করান, আহত শিশুর মুখমন্ডল ও মাথা ফুলে যায়, গলায় গভীর দাগ দেখা যায়, পরিবারটি আতংগ্রস্থ হয়ে শিশু শুখদেবকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।সরজমিনে স্থানীয়রা জানান, শুখদেবের বাবা সামান্য নাপিতের কাজ করে, তার ছেলে স্কুলের সেরা ছাত্র, এটাই ওদের সমস্যা তাই শিক্ষকরা পরিকল্পিতভাবে গরীব ছাত্রদের স্কুল থেকে বিদায় করে দিচ্ছে। স্থানীয়রা আর জানান, স্কুলটি এখন আর আগের মতো নেই, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হয়ে দাড়িয়েছে।অপর এক স্থানীয় জানান , মশিউর মাস্টারের উপযুক্ত বিচার চায় এলাকাবাসী, তার অপসারন চাই, শিক্ষকতা করার যোগ্যতা মশিউর মাস্টারের নাই।এ বিষয় নিয়ে আমরা আন্দোলনে যাব। এ ব্যাপারে ঘাতক মশিউর মাস্টার সংবাদকর্মীর টের পেয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে যান, মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করলো ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে, পরিবার সুত্রে আইনি ব্যাবস্থার চেষ্টা চলছে বলে, জানান সমীর শীল। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এলাকায় আলোচিত ঘটনা হয়ে দারিয়েছে। বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করছি।