ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে পুকুরের মাছ লুটের আশংকায় সকালে ঝালকাঠি সদর থানায় জিডি করা হলেও রাতেই মাছ লুট হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ মার্চ সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের সৈয়দকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুকুরের মালিক আঃ জলিল সরদার জানান, তিনি ঢাকায় কর্মরত থাকার সুযোগে একই বাড়ীর সেকান্দার সরদার (৫৫), এস্কেন্দার সরদার (৬০), আয়নাল (২৫), ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা তাঁর পুকুরের চাষকৃত মাছ সেচ মেশিন লাগিয়ে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তার (জলিল সরদার) ভাইয়ের স্ত্রী ও বোনরা বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায় ভাইয়ের স্ত্রী ও বোনকে বসত ঘরে আটকে রেখে তারা মাছ নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে মাছ লুটের আশংকায় জলিল সরদার ৩ মার্চ সকালে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যাহার নং-৯৮(০৩/০৩/২০১৮)। মাছ লুটের খবর পেয়ে ঝালকাঠি থানার এস.আই আশিক ০৪ মার্চ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু লুটকারীদের ফেলে যাওয়া সেচ মেশিন জব্দ না করেই তিনি চলে আসেন। জলিলের বোন ফাহিমা বেগম জানান, ২ মার্চ রাতেও একবার মাছ লুটের চেষ্টা করা হয়েছিলো। তখন মুঠোফোনে ঝালকাঠি সদর থানায় বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ লুটকারীরা তাদের সেচ মেশিন রেখে পালিয়ে যায়। তবে ফেলে যাওয়া সেচ মেশিন জব্দ করে না করেই চলে আসে পুলিশ। ঘটনার পরের দিন ৩ মার্চ মাছ লুটের আশংকায় জিডি করেন আঃ জলিল সরদার। কিন্তু জিডি করেও শেষ রক্ষা হয়নি ৩ মার্চ রাতেই মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। জলির সরদার বলেন, এ ঘটনায় ৪ মার্চ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম জানান জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় থানায় মামলা নেয়া এ মূহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না তবে মাছ চুরির বিষয়টি সত্যতা প্রমানিত হলে থানায় মামলা নেয়া হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন