হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ কান্দলভী (দাঃ বাঃ) বাংলাদেশের আসার অনুমতি চেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হাজার হাজার মুসল্লী উপস্থিত হয়ে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলার পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় মুসল্লীরা জানান, কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বিগত ৭বছর ধরে হযরত মাওলানা সা’দ কান্দলভী (দাঃ বাঃ) কে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। তাবলীগ জামাত মুসল্লীরা ঢাকার টঙ্গি প্রাঙ্গনে আগামী ৭,৮,৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দ (দাঃ বাঃ) এর বয়ান শুনবেন এবং আখেরী মোনাজাত পরবেন এমন দাবী করেন। দীর্ঘদিন ধরে শুরাই নেজাম নামধারী ব্যক্তিবর্গ আমাদের মূলধারার সার্থীদের মসজিদে দাওয়াতের কাজ বন্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে মারপিঠ,হত্যা ও জুলুম-নির্যাতন এবং কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। যা ইসলামি শরিয়ত, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার স্বার্থে দেশের সকল মসজিদে বাধাহীনভাবে তাবলীগের কাজ পরিচালিত হওয়ার ব্যাপারে সুষ্পষ্ট আদেশ জারির জন্যও দাবী জানানো হয়।
তারা আরও বলেন,দাওয়াত ও তাবলীগের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ। প্রায় একশ বছর আগে ভারতের দিল্লীস্থ নিজামুদ্দীন বাংলাওয়ালী মসজিদ হতে হযরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহঃ) রসুলুল্লাহ (সা:) ও ছাহাবা (রা:) এর তরীকার অনুসরণে এ মেহনত শুরু করেন। বর্তমানেও উক্ত নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজ মসজিদ হতে বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ (দাঃ বাঃ) এর মাধ্যমে এটি সমগ্র বিশে^ পরিচালিত হচ্ছে এবং ক্রমাগত প্রচার-প্রসার লাভ করছে। নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজকে যাঁরা অনুসরণ করছেন তারাই আসল তাবলীগওয়ালার সাথী।
দাওয়াত ও তাবলীগের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সা’দ (দঃ বা:) সম্পর্কে দেওবন্দ মাদ্রাসাকে উদ্ধৃত করে তথাকথিত মাওলানা জুবায়ের পন্থীগণ এবং তাদের প্ররোচনায় কিছু আলেম অসত্য তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। প্রকৃত বিষয় হলো ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার কিছু ব্যক্তির সাথে উনার মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে দেওবন্দ মাদ্রাসার সর্বোচ্চ কর্ণধার বিশ্ব বরেণ্য আলেম হযরত মাওলানা আরশাদ মাদানী (দা: বা:) চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। উনার অডিও রেকর্ড আমাদের সংরক্ষণে আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেওবন্দ মাদ্রাসা কখনোই হযরত মাওলানা সা’দ (দাঃ বাঃ) কে আমীর মান্যকারীদের মসজিদে আমাল বন্ধ করা বা বাধা দেওয়ার কথা বলেনি। বরং দেওবন্দ মাদ্রাসার ৬৯৫১৮ নং ফতোয়া হলো- নিজামুদ্দীন মার্কাজওয়ালাদের যে গোমরাহ বলবে সে নিজেই গোমরাহ। এছাড়া দেওবন্দ মাদ্রাসার ৬৯১৫৮, ১৫৬১৩১, ১৬৫৩৯৫, ১৫২৬৮৭ না, ফতোয়াসমূহে নিজামুদ্দীন মার্কাজের অনুসারীদের মসজিদে আমাল করতে বাধা দেওয়াসহ তাদের ব্যাপারে আপত্তিকর কথা বলার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। দেওবন্দ মাদ্রাসার ওয়েবসাইটে ফতুয়াসমূহ রয়েছে।