রৌমারীতে
রৌমারী প্রতিনিধি
রৌমারীর তুরা সড়কের কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলেছে। ৩টি সেতু, ৪টি কালভার্ট ও সাড়ে ৪ কিমি সড়কের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগ। রৌমারীতে এটাই প্রথম ও একমাত্র জাতীয় মহাসড়ক। ইতোমধ্যেই একটি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। অপর দুটির মধ্যে একটির গার্ডারের কাজ শেষ ও অন্যটির পাইলিং শেষ হয়েছে। অন্যদিকে সড়কের বেজ টাইপের কাজ প্রায় শেষের দিকে। দু’এক দিনের মধ্যে কার্পেটিং এর কাজ শুরু হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। সড়কের কাজ পেয়েছেন যশোরের মোহাম্মদ ময়েন উদ্দিন বাসী ও সেতুর কাজ করছেন ময়মনসিংহের মেসার্স রিজভী কন্সট্রাকশন।
এলাকাবাসী জানান, সড়কের কাজ সমাপ্ত হলে পূর্ণরূপ পাবে নতুনবন্দর স্থলবন্দর। সেখানে দেড় হাজার পাথর ভাঙা শ্রমিক, কুড়ি হেক্টর জমির ভাড়া, শতাধিক ক্রাসার মেশিন, প্রায় সাড়ে ৪’শ ট্রাক্টর ও ট্রাক্টরের ১৫’শ শ্রমিক আবার ফিরে পাবে তাদের কর্মসংস্থান। ব্যস্ত হয়ে পড়বে পাথর কেনা-বেচার প্রতিষ্ঠানগুলো। মেয়াদ শেষ হওয়া ভাড়া বাসা-বাড়িগুলো আবারও ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করা হবে। রাত-দিন কয়লা পাথরের মহাজন-ব্যপারি ও বড় বড় ট্রাকগুলো ছুটোছুটি করবে ঢাকা হতে রৌমারীর স্থলবন্দরে। সর্বোপরি ব্যস্ততা আর আয়ের অন্যতম একটি জোনে পরিণত হবে গোটা রৌমারী উপজেলা।
কুড়িগ্রাম সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বরকত মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, মোট ৩৬ কোটি টাকার মধ্যে ১০ ভাগ কমে কাজ করায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উবৃত্ত হয়েছে। এই উবৃত্ত অর্থে আমরা সড়কের ১৮ ফুট প্রস্থের স্থলে এখন ২৪ ফুট প্রস্থের কাজ প্রায় শেষ করেছি। এছাড়াও দু’ধারে ৩ ফুট করে ফুটপাথ শক্ত মাটি দিয়ে কমপ্্েরশন করা হবে। আমরা যে কোন মূল্যে চলতি বছরের ৩০ জনের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করবো।