ঢাকা সংবাদদাতাঃ
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের মদদে ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে গো-রক্ষার নামে মুসলিম নিধন চলছে দাবী করে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, অবিলম্বে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও নিগ্রহ বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ জরুরী। বাংলাদেশে দিল্লী শাহীর গোলাম সরকারের কাছে মুসলিম হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রত্যাশা করা হাস্যকর। ৯০ ভাগ মুসলমান নাগরিকের দেশে পৌত্তলিক মুর্তি স্থাপনের জন্য সরকারের মদদে কথিত সুশীল সেক্যুলার শ্রেনী আন্দোলন করে, তারা পাশের দেশে সংখ্যালঘুদের রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করলেও নীরব থাকবেই। কিন্তু দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক দলগুলির নিলিপ্ততা দেশপ্রেমিক জনগনকে হতাশ করছে।
ডাঃ মোস্তাফিজ বলেন, মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই ! কেননা কথিত সুশীল ও মানবাধিকার কর্মীরা মুসলমানদের অত্যাচার নির্যাতন ও নিপীড়নে মুখে কুলুপ এটেঁ দেয়।এদের বিবেচনায়, মুসলমানকে হত্যা করলে সেটি অপরাধ নয়। বাস্তবতা হলো ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমান ও বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান উভয় জনগোষ্টি ব্রাক্ষন্যবাদী অপশক্তি কর্তৃক নিগ্রেহের শিকার। নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারনে সিমান্তে প্রতিনিয়ত শুধু বাংলাদেশী নাগরিকই নয়, বিজিবির লাশ গ্রহন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে হাসিমুখে। কেননা ভারতের অর্থ ও প্রতক্ষ মদদে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। তাই প্রতিবাদ তো দুরের কথা দেশের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টায় পল্টনে ফটোজার্নালিষ্ট চত্বরে ভারতে গো-রক্ষার নামে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচীতে প্রধান অতিথির বক্তাব্যে একথা বলেন।

লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান এড. ফারুক রহমান, এমদাদুল হক চৌধুরী,যুগ্ম মহাসচিব আহসান হাবিব ইমরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, যুব সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ধর্ম সম্পাদক মাওঃ আনোয়ার হোসেন, ছাত্র মিশন কেন্দ্রীয় সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মো. মিলন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *