মোঃ মসলেম উদ্দিন- নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
নাগেশ্বরী হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। তবে প্রতিবছরের মত এবারো দিবসটি পালন হলেও প্রাণঘাতী করোনার কারনে আয়োজন ছিল সংক্ষিপ্ত। বাতিল করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান। শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ উদ্যোগ ‘শেকড়’ কার্যালয়ে দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকাল ১১ টায় শেকড় সভাপতি মনোয়ার হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য সচিব সংবাদকর্মী জোবায়ের সিদ্দিকী স্বপন, প্রেসক্লাব সম্পাদক পাভেল জামান, হামিদুল হক চায়ন, প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান খোকা প্রমুখ।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর উপজেলার রায়গঞ্জে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর প্রবল আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্থ পাক বাহিনীর ২৫ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট পিছু হটে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর দক্ষিন ব্যাপারীহাটে শক্ত ডিফেন্স গড়ে তোলে। এরপর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বিএসএফএর ১২ রাজপুতনা রাইফেলস সংগঠিত হয়ে ২৮ নভেম্বর রাতে আবারও তাদের উপর সাড়াশী আক্রমন চালায়। পরাজিত পাক সৈন্যরা ২৯ নভেম্বর ভোরে দক্ষিণ ব্যাপারীহাট ছেড়ে কুড়িগ্রামে পালিয়ে যায়। পাকিস্থানী হানাদার মুক্ত হয় নাগেশ্বরী। উল্লাসে ফেটে পড়া নাগেশ্বরীবাসী ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। সর্বত্র উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *