মসলেম উদ্দিন,নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের ন্যাডারপাড় গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের পুত্র আবুল কালামের ৫০শতক জমির ধান পুড়ে গেছে ভূল ঔষধে। ঘটনাটি প্রায় দুই সাপ্তাহ পূর্বে ঘেটেছে বলে কৃষক আবুল কালাম জানায়
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায় আবুল কালাম একজন দিন মজুর। সে বিভিন্ন সময়ে ক্ষেতে খামারে কাজ করে সংসার চালায় এবং অন্য মানুষের জমি বর্গা চাষ করে।
সে এ মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে বর্গাচাষী হিসাবে তেজ গোল্ড ও ২৮জাতের ধান চাষ করেছে। ধানের ফলন ভাল হলেও জমিতে ছত্রাক জনিত রোগ দেখা দেয়।
ধান চাষী মুনিয়াহাট বাজারে কীটনাশক ঔষধের দোকানদার আব্দুস ছামাদের নিকট পরামর্শ নিতে গেলে আব্দুস ছামাদ তাকে প্যারাটক্স ও ফলিকুর নামক দুই ফাইল ঔষধ দেয়। পরের দিন কৃষক ওই জমিতে ঔষধের ফাইল দুটি স্প্রে করে দেয়।
আবুল কালাম সকালে ধান ক্ষেত দেখতে গিয়ে দেখতে পায় তার সমস্ত ধান পুড়ে শেষ হয়ে যায়। কৃষক হতাশ হয়ে দোকানী অাব্দুস ছামাদের সাথে সাক্ষাত করলে সে ঔষধ বিক্রির কথা অস্বীকার করে।
এ ব্যাপারে ন্যাডার পারের জসিজুল মন্ডল বলেন – জমিতে ছত্রাক ধরেছে, দোকানদার ভূল করে ঘাস মারা ঔষধ দিয়ে সমস্ত ধান পুড়ে দিয়েছে,এতে করে কৃষকের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক গোলাম মওলা জানান এই সব দোলা জমিতে বিঘায় ২৫থেকে৩০মন ধান হয় আমরা কৃষক ও মূর্খ মানুষ আমাদের এভাবে ভূল ঔষধ দিয়ে জমির ধান নষ্ট করা মানে অামাদের বিরাট ক্ষতি এর বিচার চাই।
কৃষক আবুল কালাম বলেন-আমার নিজের কোন জমি নাই অন্যের জমি বর্গা চাষ করে খাই, ভূল ঔষধের কারনে আমার সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে গেছে, এখন আমি পরিবার নিয়ে খাব কি, আর জমির মালিক কে দিব কি? আমি এ সুষ্ঠু বিচার চাই।