কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঈদুল আযহার পর্বাহ্নে গত ৫দিনে ২৭টি গরু ও ৪খানা মটর সাইকেল চুরি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। হঠাৎ করে গরু চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহাড়া বসিয়েছে গ্রামবাসী। চোরেরা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটি(নছিমন) নিয়ে নাগেশ্বরী পৌরসভার পাকা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে চোরেরা সুযোগ বুঝে গৃহস্থের বাড়ী থেকে গরু চুরি করে ওই ভটভটিতে তুলে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য পৌসভার রাস্তাগলো দিয়ে হর হামেশাই গরু ব্যবসায়ীরা ভটভটি যোগে গরু নিয়ে যাওয়া আসা করে।কিন্তু চুরির বিষয়টি এলাকাবাসীরা বুঝে ওঠার আগেই স্থান ত্যাগ করে চোরেরা। ফলে কোনভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না গরু চুরি। অনেক সময় দিনের বেলাতেও মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় চুরি যাচ্ছে গরু। এছাড়াও প্রতিদিন চুরি যাচ্ছে কোন না কোন বাড়ী। চুরি গেছে ৪ টি মোটর সাইকেল। গত ৫ দিনে পৌরসভার বালাটারী মনমোহন সরকারের ১টি, মোবারক আলীর ১টি, মজনু মিয়ার ১টি, সুখাতীর আইয়ুব আলীর ১টি, ফলিন চন্দ্রের ১টি, ইদ্রিস আলীর ১টি, বক্কর মিয়ার ১টি, পানাকুড়ির আফতার আলীর ১টি, ছাত্তার মুন্সীর ১টি, মজিবর মোক্তারের ১টি, খয়বর আলীর ১ টিসহ ২৭টি গরু চুরি গেছে। এছাড়া ভিতরবন্দ,কালীগঞ্জ,ও বামনডাঙ্গা এলাকা থেকে আরো ৭টি গরু চুরি গেছে। বুধবার রাতে চুরি গেছে পানাকুড়ির মোজাহিদ আলীর বাড়ী। খোয়া গেছে ১০ ভরি সোনার অলংকারসহ নগদ লক্ষাধিক টাকা। গত এক সপ্তাহে পরপর দুইবার চুরি গেছে বালাটারী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান আলীর বাড়ী। খোয়া গেছে ৫ ভরি সোনার অলংকার ও নগদ ৬০ হাজার টাকা। এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ী চুরি যাচ্ছে । গরু ও বাড়ী চুরির পাশাপাশি চুরি যাচ্ছে মোটর সাইকেল।
বুধবার রাতে পৌরসভার বিদ্যুতপাড়ায় কামরুল হাসানের বাসার গ্রিল কেটে চোরেরা তার একটি হিরো হোন্ডা স্পিলিন্ডার মোটরসাইকেল, সাপখাওয়ার নুর ইসলাম মন্ডল ও বড়বাড়ী মিনাবাজারের রহিম মন্ডলের মোটরসাইকেল বাড়ী থেকে সিধঁকেটে চুরি করেছে।
শাহজাহান আলী, সিদ্দিক মিয়া, হামিদুল হক ও মফিজুল ইসলামসহ অনেকেই জানান চোরের উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি আমরা। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা বসালেও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।
নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, মটর সাইকেল চুরির অভিযোগ পেয়েছি তবে গরু চুরির কোন অভিযোগ পাইনি। ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় পুলিশ টহলদারী জোদার করা হয়েছে। গরু চুরির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।