মোঃ মসলেম উদ্দিন, নাগেশ্বরী(কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
নাগেশ্বরীতে দফায় দফায় ভাড়ি বৃষ্টির আর বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। এর মাঝে আবারও কৃষকরা স্বপ্ন দেখা শুরু করছে । এবার শাক-সবজি চাষের মাধ্যমে ক্ষতি পুশিয়ে ঘুরে দারানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।
নতুন করে জমি তৈরি করে লাউ, বেগুন, ঢেঁড়স, মুলা, শসা, লাল শাক, নাপা শাক, হাপা শাক, পালং শাকসহ বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির বীজ রোপণ করেছেন এবং ফলনও ভালো পাচ্ছেন। এসব শাক-সবজির পশা পাশি আলু রোপণ করবেন বলে জানান কৃষকরা। শীতের শুরুতেই শাকসবজির দাম ভালো হওয়ায় চাষাবাদে বেশ লাভবান হচ্ছেন । কৃষকেরা বলছেন আমন চাষ এবং সবজি চাষে কয়েকবার ক্ষতির মুখে পড়লেও সবজির দাম ভালো পাওয়ায় এখন বেশ খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় এবার শাক সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪’শ ১০হেক্টর জমিতে। এখনও বিভিন্ন শাক-সবিজর আবাদ চলমান রয়েছে।
নেওয়াশী ইউনিয়নের মুছুল্লিপাড়া গ্রামের সবজী চাষী হযরত আলী জানায় ১০ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে তিন বছরের জন্য এক বিঘা জমি নিয়েছি, গত বছর বৃষ্টি আর বন্যায় খরচের টাকাই তুলতে পারি নাই। এবার শাক সবজী ভাল হয়েছে, আবহাওয়া ভাল থাকলে লাভের আশা করছি। তবে টাকা পয়সার অভাবে খুব কষ্টে সবজী চাষ করছি।
উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পীর সাহেবটারীর দেলোয়ার হোসেন জানায়, আড়াই বিঘা জমি মৌসুম প্রতি ৬ মণ ধানে লিজ নিয়েছেন তিনি। এবারের বন্যায় দেড় বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে তার। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার আড়াই বিঘা জমিতেই, লাউ, বেগুন, ধনে পাতা, মুলা, লাল শাক, শসা, পটল, বাঁধা কপি লাগিয়েছেন তিনি। এখন লাউ বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিটি লাউ বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশ লাভের মুখ দেখছেন তিনি।
কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনিও এক বিঘা জমি ৬ মণ ধানে লিজ নিয়ে লাউ, লাউশাক, মুলা, ধনেপাতা চাষ করছেন। তবে এর আগে একবার এসব শাক-সবজি বন্যা ও বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। আবারও চাষাবাদ করছেন তিনি।
অপর দিকে কৃষকদের অভিযোগ, কয়েকবার বন্যা এবং ভাড়ি বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষি প্রণোদনা কিংবা কোনা প্রকার সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা। এমনকী বি.এসরাও এসে দেখে যান না ও পরামর্শ দেন না কখনও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন