আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ নাসিরনগর উপজেলা সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটরের বিরুদ্ধে দূর্নীতি-অনিয়ম ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।জোরপূর্বক নেয়া টাকা ফেরতসহ হয়রানী থেকে মুক্তি চেয়ে কতিপয় নাইট গার্ডকাম ঝাড়–দারের আবেদন। হিসাব-মহা নিয়ন্ত্রক বরাবর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের নাইট গার্ডকাম ঝাড়–দারের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়,উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর মোঃ আবদুল লতিফ এ এলাকায় শ্বশুর বাড়ির সুবাধে ঘুষ ও অশ্লালীন আচার-আচারণে জিম্মি হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী অফিসের লোকজন। অফিসের ভ্রমণ বিলে ২০%,এরিয়া বিলে ৩০/৪০% তাকে দিতে হয়।সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন নাসিরনগর হিসাব রক্ষণ অফিসে যোগদানের পর বিভিন্ন হয়রানী বহুগুনে বেড়ে যায়। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত নাইট গার্ডকাম ঝাড়–দার ফরিদ মিয়ার গত বছরের জুলাই‘১৬ মাস থেকে বেতন বৃদ্ধি করায় বর্ধিত বিল উত্তোলন করতে গেলে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কামাল হোসেন উক্ত বিল দিতে অস্বীকার করে এবং গাল মন্দ করে। পরে অডিটর আবদুল লতিফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নামে এ বিলে দুই হাজার টাকা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করার পর জুলাই মাসের বেতন অনুমোদ করেন। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর‘১৬ ও অক্টোবর‘১৬ মাসের বিল পাসের সময় ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। এবং জোরপূর্বক জুলাই‘১৬,সেপ্টেম্বর‘১৬ ও অক্টোবর‘১৬ এই তিন মাসের বেতন থেকে ৬ হাজার টাকা সেলামী জোরপূর্বক আদায় করে পাস করেন। তাই উক্ত ৬ হাজার টাকা ফেরতসহ তাদের হয়রানী বন্ধে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে কতিপয় নাইট গার্ড ও ঝাড়–দারের এক লিখিত আবেদনে দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তার ও অডিটরের বিরুদ্ধে আনীত দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তিনি সত্য নয় দাবী করে বলেন সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার প্রায় ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার একটি এরিয়া বিল দাখিল করলে তা না দেয়ায় অনেক প্রলোভন দেখিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তীতে একেই বিল সংশোধন করে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার দেয়ার ক্ষোভে তার অফিসের কতিপয় নাইট গার্ডকাম ঝাড়–দার দিয়ে একটি মিথ্যা আবেদন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছেন। তবে উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অডিটর মোঃ আবদুল লতিফকে রাঙ্গামাটি বদলি করেছেন বলে একটি সূত্র জানায়।