মোঃ রেজাউল করিম, রাজশাহীঃ
রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে চলছে ইজিপি,’র নামে ভাওতাবাজি। চলছে স্বজনপ্রীতি। ঘুরেফিরে দূর্নীতিবাজরাই নিয়ন্ত্রণ করছে দপ্তরটি।
অভিযোগ উঠেছে গুটিকয়েক ঠিকাদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে দপ্তরটি। তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররা বঞ্চিত হচ্ছে স্বজনপ্রীতি কারণে।
দপ্তরটিতে ব্যাপক দূর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা।
দূর্নীতির কারণে পূর্বের সিওএস বেলাল হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে হয়েছে মামলা। এছাড়াও সেই সময় তার সঙ্গে থাকা দূর্নীতিবাজরা এখনো আছে বহালতবিয়তে।
বহালতবিয়তে থাকা দূর্নীতিবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এখনো চলমান আছে দপ্তরটি দূর্নীতি। ওপেন টেন্ডার হোক আর ইজিপি টেন্ডার হোক সব কাজেই গুনতে হয় কমিশন।সম্প্রতি দূর্নীতির দায়ে বরখাস্ত সিওএস বেলাল হোসেন সরকারের স্থলভিত্তিক হয়েছেন রাশেদুল আমিন। তিনিও একই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক রেলের ঠিকাদার বলেন, বড় বাবু সানোয়ারের মাধ্যমে সকল কাজের কমিশনের টাকা লেনদেন হয়। প্রতিকাজে সিওএস কমিশন নেয় ১০% পারসেন, এসিওএস এর কমিশন নেয় ৭% পারসেন, সানোয়ার নেয় ৫% পারসেন। অফিসের অন্যান্যরা নেয় ৩ পারসেন।
ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা জানায়, গত কয়েক বছরে যেসকল ঠিকাদার রেলওয়েতে সম্মানের সহিত কাজ করে আসছিলো, তাদের কাজ না দিয়ে দূর্নীতি গ্রস্তরাই পাচ্ছেন ঘুরেফিরে কাজ।
এদিকে একটি বিশ্বস্তসূত্র নিশ্চিত করে বলেন, ইজিপি’র নম্বর কোড পছন্দের ঠিকাদার আগেই পেয়ে যায়। অন্য ঠিকাদাররা যতই লোয়েস্ট হোক না কেন, ঘুরে ফিরে কাজ পায় পছন্দের ঠিকাদাররা।
এ বিষয়ে কথা বলতে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে সিওএস রাশেদুল আমিনকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এদিকে এও বেলাল হোসেনকে ফোন দিলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে কথা বলতে জিএম (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। অভিযোগ বা সংবাদ প্রকাশ হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।