স্টাফ রিপোর্টার ॥

পুনঃভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি এবং শিক্ষার্থী হয়রানী বন্ধের দাবীতে রংপুরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে এবং শেষে পরিচালক প্রফেসর এসএম আবুল মতিন লস্করকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
লিখিত অভিযোগ বলা হয়, রংপুরের বর্ডার গার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ ও লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরিপত্র ও বিজ্ঞপ্তি না মেনে রংপুরের কলেজগুলো অভিভাবকদের চাপ দিয়ে পুনঃভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি গ্রহণ করছেন। এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হয়রানী ও শিক্ষা জীবন নষ্ট করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এসময় হিমেল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি বর্ডার গার্ড স্কুল কলেজের ছাত্র। আমার অভিভাবক পুনঃ ভর্তি ফি না দেয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করার কারণে গত বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ আমাকে ক্লাস রুমে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলেন। পরে আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে সাদা কাগজে একটি আবেদন লিখে নেন। পরে (গতকাল) বৃহস্পতিবার কলেজে এ্যাসাইন্টমেন্ট জমা দেয়া জন্য যাই। কিন্তু ক্লাস টিচার রুহুল আমিন স্যার আমার এ্যাসইন্টমেন্ট জমা নেয়নি পরে আমি ফিরোত আসি।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- শাহারিয়ার হিমেল, নাজমুল ইসলাম, আবুল রাজ্জাক, রাকিবুল ইসলাম, লিমন মিয়া, আবির রহমান, লাবিব মুশফিক, শাহাজাহান সর্দার, মামুনুর রহমান রিয়ন, ইসরাত জাহান, আশরা ফিরোজ, আজমাইন উল্লাস, রাসেল প্রামাণিক, আপন ইসলাম, সজিব রহমান প্রমুখ।
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালক রংপুর অঞ্চল প্রফেসর এসএম আবুল মতিন লস্কর বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য গত ২৬ আগষ্ট ২১ইং তারিখে বর্ডার গার্ড স্কুল এন্ড কলেজে পুনঃ ভর্তি ফি গ্রহণ বন্ধে এক অভিভাবক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *