ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
বউকে শ্বশুড়বাড়ি থেকে আনতে গিয়ে জামাই নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি । থানায় মামলা করায় আড়ি থেকে তুলে নেয়ার হুমকি। জানাগেছে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের মোঃ ইমান আলী শেখের পুত্র শফিকুল ইসলাম(২৬) চার বছর পুর্বে নাগেশ্বরী পৌরসভার মালভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা মোছাঃ সুমি আক্তার(২২)কে বিয়ে করে এবং তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর সুমি আক্তার সন্তানসহ তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ১১ ডিসেম্বর সুমি আক্তারের বাবা শহিদুল তার জামাই শফিকুলকে দাওয়াত দেয়। সরল বিশ্বাসে শফিকুল ইসলাম তার বড় বোন কুলছুমা বেগম(৫০)সহ অটোরিক্সা নিয়ে শ্বশুড়বাড়িতে তার স্ত্রীকে আনতে গেলে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে শফিকুল ইসলামের বড় বোন কুলছুমার তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে কুলছুমা বেগম ও জামাই শফিকুল ইসলামকে বেদম মারপীট করে ঘরে আটকে রাখে। অবস্থা বেগতিক দেখে শফিকুলের বোন কুলছুমা পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ নম্বরে তাদের উদ্ধার করতে ফোন করলে রাতেই নাগেশ্বরী থানা পুলিশ এসে অটোরিক্সাসহ তাদের উদ্ধার করে। পরের দিন শফিকুল শফিকুলের পিতা শহিদুল ইসলামসহ ৫ জনের নামে নাগেশ্বরী থানায় একটি এজাহার দায়ের করে এবং চিকিৎসার জন্য ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এজাহার দায়ের করার পরেও আসামীরা গ্রেপ্তার হয়নি উল্টো শফিকুল ইসলামসহ তাদের আত্মীয় স্বজনকে বাড়ি থেকে গুন্ড বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে মারপীট,খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসায় মামলার বাদী পক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ওসি নবীউল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তবে মামলা রেকর্ড করা হয়নি। তবে মামলা করলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।