ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার ::
বড়লেখা উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হলেন এক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান। এর জের ধরে খুনীর বাড়ীঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন, ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন ও খুনীর পুত্রকে গ্রেফতার করেছে। একাধিক সুত্রে জানা গেছে- মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আলম (৩৭) গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইউনিয়নের মেম্বার মাসুক আহমদকে নিয়ে হোন্ডাযোগে কুমারশাইল গ্রামে একটি জানাজার নামাজে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছিলেন। লাতু বিজিবি ক্যাম্পের নিকটে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী কাজল আহমদ (৪৭) ঢিল ছুড়ে হোন্ডার পিছনে বসা আবুল হোসেন আলমকে রাস্তায় ফেলে দা দিয়ে উপর্যুপরী কুপিয়ে পালিয়ে যায়। দ্রুত তাকে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত আলম ইউনিয়নের সায়পুর গ্রামের মৃত: খলিলুর রহমানের পুত্র। কি কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে তা জানা যায়নি। পুলিশ বলছে তদস্তে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে। আবুল হোসেন আলম হত্যাকান্ডের সংবাদে উত্তেজিত জনতা সন্ত্রাসী কাজল আহমদের বাড়ী ও বাড়ীর সামনের দোকানঘর অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, পৌর মেয়র আবুল্ ইমাম কামরান চৌধুরী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সুয়েব আহমদসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। এ ঘটনায় পুলিশ কাজল আহমদের পুত্র সাদিক আহমদকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জাতীয় সংসদের হুইপ ও বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন এমপি আবুল হোসেন আলম হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *