বিশেষ প্রতিনিধি:
বরগুনায় এক সংবাদকর্মীর মটরসাইকেলের উইনসেটে ১৮পিচ ইয়াবা রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল একটি চক্র। শনিবার রাত নয়টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে দৈনিক যায়যায়দিন ও বৈশাখী টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় শনিবার রাতেই মিজানুর রহমান বরগুনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
জানা গেছে,শনিবার সন্ধ্যার পর মিজানুর বাসা থেকে মটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কের তাঁর অফিসে আসেন। এ সময় তাঁর মটরসাইকেল অফিসের সামনে রাখেন। এরপর অফিস থেকে বের হয়ে শহরের ভিতর যান। রাত পৌনে নয়টার দিকে মিজানুরের মুঠোফোনে একটি কল আসলে তাকে জানানো হয় আপনার পিছনে শয়তান লেগেছে এবং আপনার মটরসাইকেলে ইয়াবা রাখা আছে। আপনি তাড়াতাড়ি তা সরিয়ে ফেলুন। এ সংবাদ শোনার পর মিজানুর হতবাক হয়ে যান এবং তাৎক্ষনিক বরগুনা প্রেসক্লাবে তার সহকর্মীদের জানান। তারা দ্রুত তাঁর অফিসের সামনে এসে তার মটর সাইকেল তল্লাসি করে দেখেন উইনসেটে সামনে পকেট টিস্যুর ভিতরে পলিথিন দিয়ে পেচানো ১৮পিচ ইয়াবা রাখা রয়েছেন।পরে বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ সাংবাদিকরা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ১৮পিচ ইয়াবা জমা দেন এবং মিজানুরের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
মিজানুর রহমান বলেন, রাত পৌনে নয়টার দিকে আমার মুঠোফোনে একটি কল আসলে জানানো হয় আপনার পিছনে শয়তান লেগেছে এবং আপনার মটরসাইকেলে ইয়াবা রাখা আছে। আপনি তাড়াতাড়ি তা সরিয়ে ফেলুন। এ সংবাদ শোনার পর আমি হতবাক হয়ে যাই এবং তাৎক্ষনিক বরগুনা প্রেসক্লাবে আমার সহকর্মীদের জানাই।আমার সহকর্মীরা এসে দেখেন আমার মটরসাইকেলের উইনসেটের ভিতরে টিস্যু প্যাকেটে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো একটি বড় ও ছোট ছড়ায় ১৮পিচ রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,গত কয়েকদির ধরে খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তার দূনীর্তি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় ওই পক্ষটি আমার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মিরাজ বলেন,একজন সংবাদকর্মীর মটরসাইকেলে এভাবে ইয়াবা রেখে ফাঁসানো চেষ্টা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, বৈশাখী টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি মিজানুরের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেও খুজেঁ বের করার চেষ্টা চলছে।