বিশেষ প্রতিনিধিঃ মোঃ,খলিলুর রহমান
বরগুনা সদর উপজেলা ১০ নং নলটনা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন কবির রাতের আধারে সাংবাদিক ডাঃ খলিলুর রহমানের পুকুরের মাছ লুট করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, রবিবার গভীর রাতে ডাঃ ও সাংবাদিক খলিলুর রহমানের পুকুরে মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পানি সেচ করান চেয়ারম্যান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পুকুরের পানি সেচ করা বন্ধ করে দেয়। পরের দিন সোমবার গভীর রাতেও পুকুরে পানি সেচ করা শুরু করে। খলিলুর রহমান বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানালে তিনি চেয়ারম্যানকে পুকুর সেচ করতে নিষেধ করে। এভাবে রাতে রাতে অন্যের পুকুরে মাছ লুট করার চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির। ডাঃ ও সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালে ১৪ এপ্রিল গাজী মাহমুদ মৌজার ৯৬১/৯৬৭ দাগের ৪০ শতক জমি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে মাধ্যমে ইজারা নিয়ে ৫০ হাজার টাকার সাদা মাছ ( রুই,কাতলা,তেলাপিয়া) মাছ চাষ করি। এসময় মৎস্য খামারটি দেখাশুনা করার জন্য প্রতিবেশি মনু সরদারের পুত্র রশিদ সরদার (৬০) কে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি মাছ চুরি করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে বরগুনার বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে খামারটি ইব্রাহীম ওরফে আলেন খানকে মৎস্য খামারটি পরিচর্যা করার দায়িত্ব দেই। কিছু দিন পরে ইব্রাহীম ওরফে আলেন খান মারা যায়। ইব্রাহীমের স্ত্রী রহিমা বেগম কি ভাবে সংসার পরিচালনা করবে নিরুপায় হয়ে যায়। আমি মৎস্য খামারটি পরিচর্যা করার জন্য স্বামীর পরিবর্তে রহিমা বেগমকে কাজ করতে বলি। কিছু দিন পরে রহিমা বেগম, ইলিয়াস, আয়জদ্দিন সরদার ও রশিদ সরদার মিলে আমার খামারের মাছ চুরি করে। আমি ওদের বিরুদ্ধে বরগুনা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দারের করি। আমি গুরুতরও অসুস্থ বর্তমানে চট্রগ্রামে চিকিৎসা দিন রয়েছি সেই সুযোগে রহিমা বেগম চ্যোরম্যানকে সাথে নিয়ে আমার পুকুরের মাছ লুট করার চেষ্টা করতেছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির বলেন, রহিমা বেগম আমার কাছে অভিযোগ করেছে তাই আমি পুকুরে সেচ করে মাছ ধরে বিক্রি করে পরিষদে টাকা জমা রাখবো, যেই লোক কাগজ পত্র দেখাতে পারবে তাকে পরে টাকা দিয়ে দিবো। তবে পুলিশ বাধা দিয়েছে তাই পুকুর সেচ করা বন্ধ করে দিয়েছি। এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রব বলে, ডাঃ খলিলুর রহমান এখানে অনেক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। মাছ গুলো অনেক বড় হয়েছে এ দেখে অনেকে লোভ সামলাতে পারছে না। এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাসুদুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, যে খানে কোটে মামলা চলে সেখানে কি করে মাছ ধরে। তবে আমি মাছ ধরতে নিষেধ করেছি।