বরিশাল প্রতিনিধিঃ
পুরান ঢাকা শান্তিনগর থানা , যাত্রাবাড়ী থানা , শ্যম পুর থানা , থানা শতাধিক মাদকের মামলা আছে এই তমা শিকদার ওরফে তানিয়া আক্তার তমা। সে ক্লাস ৮ম শ্রেণী পাশ । কিন্তু সবার কাছে সে ডাক্তার কখনও সাংবাদিক পরিচয় দিয়া বাণিজ্য করে বেরাচ্ছে ।
মাদক ( ইয়াবা ) সম্রাজ্ঞী তানিয়া আক্তার
এই মহিলা ও তার ভাই রনি এর নামে বরিশাল কাউনিয়া থানায় শতাধিক মামলা আছে ।
বাংলাদেশের খাদ্যভান্ডার নামে পরিচিত বরিশাল জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা,ফেন্সিডিল,হেরোইনসহ মদ,গাজা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য। পুরো বরিশালের মাদক নিয়ন্ত্রন করছে বাবুগঞ্জ থানার সিকদার বাড়ীর ল্যাংড়া রিপন নামে পরিচিত এক কুখ্যাত মাদক স¤্রাট। তার এ অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে বাবুগঞ্জ থানা সংলগ্ন বাড়ীর মাহবুব নামক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন লেফটেনেন্ট কর্ণেল। এছাড়াও ল্যাংড়া রিপন তার মাদক ব্যবসা নির্বিঘœ রাখতে ২৬ জন বিদেশী অস্ত্রধারী ভয়ঙ্কর খুনী সন্ত্রাসী এবং একাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের নিয়োজিত রেখেছে। ল্যাংড়া রিপন দিনের বেলায় বাবুগঞ্জ উপজেলায় চাকুরি করার সুবাধে এবং তার বর্ণচোরা স্বভাবের কারণে খুব সহজেই এলাকায় সাদাসিধে মানুষ হিসেবে পরিচিত থাকলেও রাতের আঁধাওে বেরিয়ে আসে তার আরেক ভয়ানক রূপ। এক তথ্যানুসন্ধানে একে একে বেরিয়ে আসে তার কুকীর্তির বিভিন্ন দিক। ঢাকা থেকে লঞ্চের কেবিনে করে আনা বিভিন্ন মাদকদব্য বরিশাল বিমানবন্দর থানার, চাঁদপাশা ইউনিয়নের আরজি কালিকাপুরের আকনবাড়ীর আমিনুল হক,বাবুগঞ্জ থানার কেদারপুরের বালুর ঠিকাদার নুরে আলম, চাঁদপাশা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মতিন হাওলাদারের দুই ছেলে এবং মেয়ের ঘরের নাতি, চাঁদপাশা ইউনিয়নের ঘটকের চর গ্রামের নুর হোসেন,নুর হোসেনের পাশের বাড়ীর বন্ধু রাসেল, একই ই্উনিয়নের মোল্লাবাড়ীর কবির মোল্লা, আরজি কালিকাপুর গ্রামের মৃত গফুর দারোগার ছেলে কিবরিয়া,কাউনিয়া থানার ভাটিখানার সাহাপাড়ার মৃত ডা. আজাহার উদ্দিনের কণ্যা, মাদকসেবী তানিয়া আক্তার তমা ওরফে তমা সিকদার,তানিয়ার আপন ছোটভাই রনি,উজিরপুরের সিকদার বাড়ীর রাজ্জাক সিকদারের কণ্যা খাদিজা বেগম,খাদিজার আপন ছোটভাই টিটো,খালাতো ভাই শাহীনের মাধ্যমে জেলার সর্বত্র অন্যান্য ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পৌছে দেয়া হয়। মাদকদ্রব্য পরিবহনের সময় আইনরক্ষাকারী বাহিনীর নিকট ধৃত হলে ল্যাংড়া রিপনের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের ব্যরিষ্টার রিণার সহযোগিতায় তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হলে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় মাদকব্যবসা চালিয়ে যায় দাগী সন্ত্রাসী সেসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় জনগন ল্যাংড়া রিপনের অবৈধ মাদক ব্যবসার কথা জানলেও তার বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। বর্ডার দিয়ে আগত মাদক এবং স্থানীয় থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্ণেল মাহবুব নিজে। ব্যক্তিগত জীবনে দুই বিয়ে করা ল্যাংড়া রিপন তার ছোট বউয়ের সাথে কাশীপুর বাজারের বাড়ীতে ২৬ জন সসস্ত্র যুবককে নিয়ে বসবাস করেন। তার নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে যুবকেরা। তার গ্রীন সিগনাল পেলে তারা খুনও করে নির্দ্বিধায়। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে জনসাধারনের কাছে ঘোষণা করে তাদের হাত অনেক লম্বা। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের লাশ পড়ে থাকবে। অবৈধপথে অর্জিত তাদের কালোটাকার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। থানায় নিয়মিত মাসোহারা প্রদানের মধ্য দিয়ে তারা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা। ধ্বংস করে দিচ্ছে অপার সম্ভাবনাময় যুব সমাজসহ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাকে। অল্প সময়ে অধিক টাকার মালিক বনে গিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠেছে ল্যাংড়া রিপন এবং তার সহযোগীরা। সমাজের সাংবাদিক,শিল্পীবৃন্দ,লেখকসহ ভুক্তভোগীরা ল্যাড়া রিপনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,জাতির জনক,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের যোগ্য উত্তরসূরী,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি জানিয়েছে