রণিকা বসু(মাধুরী),স্টাফরিপোর্টাার
হায়রে স্বাধীনতা আর কত সইতে হবে ?একজন কলম সৈনিক সত্য তুলে ধরার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে৷তার কি একটু স্বাধীনতা পাবার অধিকার নেই?আজ আমাদের জীবনের কি এইটুকু সুরক্ষা নেই৷সন্রাসীদের হাতে আমরা আর কতদিন জিন্মি থাকবো?একজন সাংবাদিক যদি ঘরে প্রাণের ভয়ে অবরুন্ধ থাকে?তাহলে সমাজের অবস্থা কত ভয়ঙ্কার,মানুষ কতটা অসহায়৷এমনি ঘটনার ঘটেছে,এক হিন্দু মায়ের জীবনে৷সন্তানের জীবন রক্ষা করার জন্য,মা পুলিশ সুপারের নিকট সুরক্ষা প্রার্থনা৷
ঘটনা প্রসঙ্গে,
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছেলেকে রক্ষা করতে পুলিশ সুপারের কাছে এক সাংবাদিকের মা লিখিত আবেদন করেছেন। পুলিশ সুপার অনুসন্ধান পূর্বক আইনগত সহয়তা দেওয়ার জন্য চিতলমারী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা তার দুই ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা জানান ওই সাংবাদিকের মা শিপ্রা গোস্বামী।
শিপ্রা গোস্বামী আরও জানান, তার বড় ছেলে সৈকত মন্ডল দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার চিতলমারী উপজেলা সংবাদদাতা। তাদের বাড়ি উপজেলার খিলিগাতী গ্রামে। গত ৬ জুন রাতে স্থানীয় বাবলু মন্ডল, ইমরান হোসেন ও সিরাজের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সৈকতের বড় কাকা ও খিলিগাতি-করাতেরদিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিষ মন্ডলের ওপর হামলা চালাতে যায়। এ সময় সৈকত ও সাগর তাদের বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা তার দুই ছেলেকে মারপিট করার জন্য হন্যে হয়ে রাতদিন খুঁজে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনা থেকে তিনি মুক্তি পেতে ১০ জুন বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা তার দুই ছেলে সাংবাদিক সৈকত মন্ডল ও সাগর মন্ডলকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে বাবলু মন্ডল সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সৈকত মন্ডলের কাকার সাথে জায়গা জমি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
তবে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরীফুল হক সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে আবেদনের একটি কাগজ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বে সাথে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।