ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ভুরুঙ্গামারীতে কর্মচারীদের বেতনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেসরকারী সংস্থা এপেক্স এনজিওর আইসিভিজিডি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শ্রীমতি সাহাকে অবরুদ্ধ করল অফিসের ষ্টাফ সহ মাঠ কর্মীরা।
জানাগেছে উপজেলার ভুরুঙ্গামারীতে ভিজিডি সুবিধাভোগীর আত্মনির্ভরশীল করলে ২০১৬ সালে আইসিভিজিডি প্রকল্প চালু হয় এবং প্রকল্পটির পরিচালনার সহযোগী সংস্থা এপেক্সকে দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রকল্পটির শুরুতেই বিভিন্ন অনিয়মের করে বেতনভাতা না দিয়েই ষ্টাফদের নিকট থেকে স্বাক্ষর,ভিজিডি কার্ডধারীদের নামীয় বরাদ্দ টাকা আত্মসাত, ভুয়া ষ্টাফ এবং চাকুরী থেকে অব্যাহতি প্রদানকৃত ষ্টাফদের স্বাক্ষর জাল করে সরকারী টাকা আত্মসাত করে আসায় ইতিপুর্বে দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশের পর টনক নড়ে । এদিকে গত ডিসেম্বর/২০১৬ ভিজিডি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ষ্টাফদের বেতন ভাতার টাকা পরিশোধ না করায় ষ্টাফরা বেতন পরিশোধের দাবী করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে। এছাড়া আইসিভিডি প্রকল্পের কর্মরত ষ্টাফরা জানুয়ারী মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় বেতনের কথা বলায় কয়েকজন ষ্টাফদের মৌখিকভাবে চাকুরী থেকে অব্যাহতির হুমকি প্রদান করে। শুধু তাই নয় এনজিওটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক শ্রী পবিত্র কুমার দাস প্রতিটি ষ্টাফদের বেতন থেকে ২হাজার টাকা কর্তন করে নিজেই আত্মসাত করে। গত ১০ জুন শনিবার আইসিভিজিডি প্রকল্পে কর্মরত ষ্টাফদের নিয়ে মিটিং চলাকালীন বেতনভাতা নিয়ে উক্ত প্রজেক্ট ম্যানেজার শ্রী পবিত্র কুমার দাসের স্ত্রী প্রজেক্ট কো- অর্ডিনেটর শ্রীমতি সাহার সঙ্গে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানালে অফিস থেকে না জানানোর কারনে কেউ ঘটনাস্থলে না আসায় পরে স্থানীয় সমাজসেবক শাহীন ব্যাপারী ও ডাঃ মোর্শারফ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়ের মধ্যে সমঝোতা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ষ্টাফদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়ে তাকে অবমুক্ত করেন। । প্রকল্পের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আসায় যেকোন মুহুর্তে এনজিওটি উধাও হতে পারে বলে ষ্টাফরা আশংকা করছেন। এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী প্রকল্প অফিসের বিডিও এম সাইদুজ্জামান জানান,পবিত্র কুমার দাস ও তার স্ত্রী শ্রীমতি সাহার বিভিন্ন দুর্নীতি ও ষ্টাফদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরনের কারনে এনজিওটি আজ বিতর্কিত। ষ্টাফদের বেতনভাতা পরিশোধ না করলে যেকোন মুহুর্তে আবারও অপ্রীতিকর ঘটনার সুত্রপাত হতে পারে।