ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে মেধা, যোগ্যতা, নিষ্ঠা দিয়ে দরিদ্রতা জয় করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী। পিতামাতা কেউ দিনমজুর, চায়ের দোকান্দার আবার কেউ শ্রমের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। চিকিৎসক ও প্রকৌশলী হয়ে সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও অর্থাভাবে তাদের আশার তরী কোন ঘাটে ভিড়বে তা নিয়ে শংকিত অভিভাবকরা। এদের মধ্যে জীবিকার সন্ধানে কুমিল্লা থেকে আসা চায়ের দোকান্দার দীন ইসলামের কন্যা ফাহিমা
ইসলাম সাথী চলতি বছরে ভুরুঙ্গামারী পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ভিটে ছাড়া কোন জমি-জমা না থাকায় অর্ধবেলা খেয়ে না খেয়ে অন্যের ঘর ভাড়া নিয়ে চায়ের দোকান দিয়ে ফাহিমা ইসলাম সাথীর বাবা জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামে স্ত্রী,পুত্র কন্যা নিয়ে বসবাস করছেন দীন ইসলাম। সামান্য চায়ের দোকানের আয় দিয়ে অতিকষ্টে চলে তাদের সংসার। অভাবের সংসারে ফাহিমা ইসলাম সাথী নিজের আগ্রহে তাই রাত জেগে পড়ালেখা করে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ভুরুঙ্গামারী পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে । ফাহিমার ভাই জাহিদুল ইসলাম একই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। মা ফাতেমা ইসলাম পান্না পেশায় গৃহিনী। ফাহিমা ইসলাম সাথী ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে আর্তমানতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে ইচ্ছুক। সন্তানের এ ভালো ফলাফলে উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা। অন্যদিকে দারিদ্রতা ও অর্থাভাবে সন্তানের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরনে কতটা পথ পেরুতে পারবেন এ নিয়েই চিন্তিত তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *