বিশেষ প্রতিবেদনঃ
আর কত বয়স হলে নাট্য শিল্পী তারা পদ বসাকের ভাগ্যে জুটবে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড? শিক্ষিত মানুষ পেলেই তারাপদ বসাকের এই প্রশ্ন সকলের কাছে।
জানাগেছে উপজেলার ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের হত দরিদ্র তারাপদ বসাকের বয়স বর্তমানে ৯২ বছর হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড। তারাপদ বসাকের নিজস্ব বাড়ির ভিটে ছাড়া নেই কোন জমিজমা। ৫ সন্তানের জনক তারা পদ অতিকষ্টে ৪ কন্যাকে বিয়ে দিলেও এক পুত্র রতন বসাক বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে । বৃদ্ধ তারা পদ বসাক আর তার বৃদ্ধা স্ত্রী বিভা বসাক বাড়ির ভিটে আকড়ে ধরে মানবেতর জীবন যাপন করলেও তার ভাগ্যে আজও জোটেনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড। তিনি জানান দীর্ঘ ১০/১২ বছর থেকে তিনি সদর ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে একটি বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য ধর্না দিয়ে আসলেও আগামীতে কার্ড করে দিবে দিবে বলে আজও তার সেই কার্ড করে দেয়নি চেয়ারম্যান মেম্বার। এই হত দরিদ্র নাট্য শিল্পী তারাপদ বসাক যাত্রা,নাটকে তুখর অভিনেতা হিসাবে সুনাম অর্জন করে। সে নারী চরিত্রে অভিনয়ে পারদর্শী ছিলেন। সে আজ জীবন যুদ্ধে পরাজিত । দুচোখে ঠিকমত দেখতে পায় না তা সত্বেও জীবিকার তাগিদে তাকে প্রতি শনিবার মঙ্গলবার ভুরুঙ্গামারী গরুহাটিতে ভ্রাম্যমান খিলি পানের দোকান দিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে এই অসহায় বৃদ্ধ নাট্যশিল্পী তারাপদ বসাক। তারাপদ বসাক জানান আমরা হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হিসাবে সরকারী বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও আমার ভাগ্যে কেন বয়স্ক ভাতার কার্ড জুটছে না এই প্রশ্ন সকলের কাছে। আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাব? তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সহ সমাজের সকলের কাছে তার এই দুর্দিনে একটি বয়স্কভাতার কার্ড পাওয়ার জন্য জোর দাবী করেছেন।