ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
ভূরুঙ্গামারীতে দিনের পর দিন জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ডাক সেবার কার্যক্রম।
সরকার দেশকে যে ভাবে আধুনিকায়ন করছে ঠিক;সে ভাবেই জেলা ডাকঘরগুলো আধুনিকায়নের কাজ সমপন্ন হলেও উপজেলার ডাকঘরগুলোর অবস্থা আধুনিকায়নের অভাবে সর্বদা এখন যেন নিরবতার আধাঁরে আছন্ন। কালের বিবর্তণে ডাকঘরের গুরুত্ব অনেকটা হাড়িয়ে গেলেও রাষ্ট্রীয় কিছু চিঠিপত্র আদান-প্রদান করে তা এখনো টিকে আছে।গতি অত্যন্ত ধীর। ডাকঘরগুলোতে প্রয়োজনীয় জনবল সরকার কতৃক নিয়োগ দেয়া থাকলেও আগেরমতো মানুষজনের নেই কোনো আনা- গোনা। কাজ তেমন না থাকায় শুধু অফিস খুলে বসে থাকতে হয়। তথ্যাণুযায়ী একসময় সীমান্ত ঘেষা ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ডাকঘরটি মানুষের তথ্য আদান-প্রদানের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হতো। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় ডাকঘরটির দরজা ও জানালাগুলো ভেঙ্গে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে যেকোন সময় মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে গিয়ে নষ্ট হতে পারে। ছাদ ও দেয়ালের আস্তরণ খসে খসে পড়ছে। এতে বড় রকমের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। দূর্ঘটনার এড়াতে পোস্ট মাস্টারের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়াটারটি পরিতাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শৌচাগারে রয়েছে পানির সমস্যা। এছাড়াও ডাকঘরটিতে লোকবল স্বল্পতায় ডাক সেবা বিঘিœত হচ্ছে। ডাকঘরটিতে সাধারণ চিঠিপত্র ও পার্সেল আদান-প্রদান ছাড়াও জি.ই.পি, ই-মানি অর্ডার ও সঞ্চয় পত্র কার্যক্রম চালু রয়েছে। ডাকঘরটিতে গড়ে প্রতিমাসে দুই কোটি টাকার সঞ্চয় পত্র বিক্রয় হয় বলে জানা গেছে। মাস ছয়েক আগে ডাকঘরটির সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ে। যার ফলে ডাকঘড়টির নিরাপত্তা হুমকির মুখে। ডাকঘরটির অধীনে উপজেলায় আরও সাতটি শাখা ডাকঘর রয়েছে।
ডাকঘরটির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার শাহ নুর জামান আলী ব্যাপারী জানান, লোকবলের স্বল্পতার কারণে ডাক সেবা প্রদানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, অন্যান্য সমস্যাগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন