রবিউল আলম লিটন,ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিয়ম বহির্ভুতভাবে একটি সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জাতের ১৫টি বৃক্ষ কর্তন ও বিদ্যালয়ের ভাঙ্গা ভবনের ইট, কাঠ ও টিন বিক্রি। অভিযোগে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন। পরে সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক মালামাল উদ্ধার ।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের শরিয়ত উল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজের টেন্ডার হলে পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ঐ স্থানে অস্থায়ী ঘর তুলে পাঠ দান চালিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কতিপয় সদস্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মন্ডলের যোগসাজসে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অর্ধশতাধিক বছরের বিশাল আকৃতির কাঠাল, শিশু মেহগনিসহ ১৫ টি গাছও কেটে ফেলে। সেই সাথে পুরাতন ভবনের ইট সহ অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এসব কর্মকান্ড করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি অফিসারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম পুলিশ নিয়ে উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বিভিন্ন ‘স’ মিলে অভিযান চালিয়ে প্রায় চার লক্ষ টাকার গাছ উদ্ধার করেন। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন এর বাড়ী থেকে সাত হাজার , বিদ্যালয়ের পাশে আনোয়ার হোসেনের বাড়ী থেকে চার হাজার পাঁচশত, আব্দুল হকের বাড়ী থেকে দুই হাজার, রিয়াজুলের বাড়ী থেকে দুই হাজার, কুতুব উদ্দিনের বাড়ী থেকে বারশত, আইয়ূব আলীর বাড়ী থেকে এক হাজার ও জাহাঙ্গীরের বাড়ী থেকে পাঁচ শত সহ প্রায় উনিশ হাজার ইট উদ্ধার করেন। এ সময় নৈশপ্রহরি কুতুব উদ্দিন এর বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ের পুরাতন কাঠ, টিন, রড, দরজা ও জানালা উদ্ধার করা হয়।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান জালাল মন্ডলের লিখিত নির্দেশ এবং উপস্থিতিতে সব কাজ হয়েছে। এ ব্যাপারে উনিই ভালো বলতে পারবেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল মন্ডল এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি । প্রধান শিক্ষক রফিকুর ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তর্াা জোত্যির্ময় চন্দ্র সরকার জানান, ইউএনও স্যার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন । তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জান বলেন, দুএক দিনের মধ্যেই আমি তদন্ত কাজ শুরু করবো।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ ইট ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হচ্ছে এবং তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অভিযোগকারীরা জানান,লিখিত অভিযোগের পরেও প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে না।