বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হু-হু করে বাড়ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপাদান পানের দাম। ফলে নাভীশ্বাস উঠেছে পান পিয়াসীদের।
উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পানের দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে যে পানের বীড়া (নাটোরের ৬০ পানে এক বীড়া আর কুষ্টিয়ার ৮০ পানে এক বীড়া) ৫০-৬০টাকা ছিল তা বর্তমানে দেড়’শ টাকা এবং খিলি পান যা গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকা ছিল তা বর্তমানে তিন’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভুরুঙ্গামারী সদরের কামাতআঙ্গারীয়া গ্রামের পান চাষি সুভাষ চন্দ্র জানান,চলতি বছর প্রচন্ড শীতে উপজেলার পানের বরজগুলোর পান অকালে ঝড়ে পড়ায় স্থানীয় বাজারে পানের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে রাজশাহী ও কুষ্টিয়া থেকে পান আমদানীর পরিমান বেড়ে গেছে।
দীর্ঘদিন যাবত পান ব্যবসায়ের সাথে জড়িতরা এবছর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পান ব্যবসায়ী নূরুজ্জামান, নূর আমীন জানান, গত সপ্তাহে মোকাম থেকে পান কিনে এনে তাদের আট-নয় জন ব্যবসায়ী প্রত্যেকে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা করে লোকশান দিয়েছেন। পানগুলো যে শীতে ঝড়ে পড়া পান ছিল তা তারা আগে বুঝতে পারেন নাই। বর্তমানে মোকামেই পানের আকাল চলছে। মোকাম থেকে ৩০ টাকা বীড়ার পান ৩’শ টাকা বীড়া দরে কিনতে হচ্ছে। মোকামে দাম বাড়তি হওয়ায় তার সাথে পরিবহন ও অন্যান্যা খরচ যোগ করার ফলে পানের দাম বেড়েই চলছে। আর সেই কারনে বাজারে খিলি পান বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা আর ১০ টাকায়। হঠাৎ করে পানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খিলি পানের দাম বৃদ্ধি করায় দোকানী আর ক্রেতাদের মধ্যে ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। ভূরুঙ্গামারী বাস্স্ট্যান্ডের খিলি পান বিক্রেতা ফরিদুল ইসলাম দুলু জানান, বেশি দামে কিনতে হয় বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *