ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পুকুরে চুবিয়ে প্রতিবন্ধী যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামে। স্থানীয় এবং খোকনের স্বজনেরা জানান, শনিবার বিকালে পাটেশ্বরী বরকতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় যুবকদের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার সময় মানসিক প্রতিবন্ধী খোকন মিয়া কয়েকবার মাঠের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করে। এতে বিরক্ত হয়ে মাঠে খেলতে থাকা পাইকেরছড়া ইউপির বেলদহ গ্রামের সাইফুর রহমানের পুত্র জিল্লুর রহমান তৈয়বুর রহমান মাষ্টারের পুত্র তোফায়েল হোসেন,সাবেক ইউপি সদস্য খোকা মিয়ার পুত্র নবীন হোসেনসহ কয়েকজন ওই মানসিক প্রতিবন্ধি খোকনকে ধরে মাঠের পাশের পুকুরে উপর্যপুরি চুবাতে থাকে। একপর্যায় খোকনের মৃত্যু ঘটে। পরে খোকনের মরদেহ পুকুর পাড়ে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা খোকনের লাশ দেখতে পেয়ে বাড়িতে সংবাদ দিলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। পরিবারের লোকজন গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসলে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চালায়। এদিকে পুলিশ সংবাদ পেয়ে রাত ৩টায় খোকনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং একটি ইউডি মামলা দিয়ে রবিবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। প্রতিবন্ধি খোকন পাইকারছড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
খোকনের পিতা আমজাত হোসেন জানান, লাশ বাড়িতে আনার পর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এসে বিষয়টি আপোষ করে দেয়ার কথা বলেন পরে রাতেই পুলিশ লাশ নিয়ে যায়। মাঠে উপস্থিত থাকা রাকিবুল হাসান জানান, আমি খোকনকে পানিতে চুবাতে দেখি। জিল্লুরকে পুকুর পাড় থেকে চলে যেতে দেখতে পায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক যুবক। তিনি বলেন, আমি পুকুর পাড়ে গিয়ে লাশ দেখতে পাই এবং জিল্লুরকে চলে যেতে দেখি। তাকে আমি ডাকি কিন্তু সে দ্রুত চলে যায়। পরে লোকজন ডেকে লাশটি দোকানের এখানে আনি এবং ডাক্তারকে দেখাই, ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লাশ মর্গে গেছে এখানে মিমাংসার কিছু নাই । ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, ইউডি মামলা দিয়ে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।