স্টাফ রিপোর্টার, ভূরুঙ্গামারীঃ
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে বোরো রোপনে শীতের ঠান্ডাকে হার মানিয়ে ফসলের মাঠে কৃষক-কৃষাণীরা সারাক্ষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
উপজেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা যায়, মাঘের আবহাওয়া ঠান্ডা ভাব থাকলেও সামান্য রোদ পেয়ে কৃষকেরা অতি উদ্দমের সঙ্গে ভোর না হতেই ফসলের মাঠে নেমে পড়ে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা বোরো রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার চর-ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, শীতের প্রচন্ড কনকনে ঠান্ডার কারণে আবাদ করার সময় অনেকটা পিছিয়ে গেছে। তাই এ সময় পুরণ করা লক্ষ্যে সারাক্ষণ পরিশ্রম করে বোরো চারা জমিতে রোপন করছি।
কৃষি শ্রমিক কামাল হোসেন বলেন, শীতের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে পেটের দায়ে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে কষ্ট হলেও প্রতিদিন আড়াইশ টাকা রোজগার করে সংসার চালাচ্ছি।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দেওয়ানের খামারের বোরো চাষী মিজানুর রহমান জানান, এবারের শীতের ঠান্ডায় অত্র উপজেলায় বোরো চারাগুলো ছোট ও লালচে হওয়ায় শ্রমিকদের প্রতি বিঘায় মুজুরী দেড় হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ১০টি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ২০৮ হেক্টর জমিতে বোরো ও বিভিন্ন জাতের ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং গভীর ও অগভীর-বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্র মোট ১ হাজার ৬৩টি, ডিজেল চালিত সেচযন্ত্র ৪ হাজার ৮৪০টি, এলএলপি রয়েছে ০৮টি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আক্তারুজামান বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় স্থানীয় জাতের প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে চারা রোপন করা হয়েছে এছাড়া উফসি ৭ হাজার ৭৭০ এবং হাইব্রিড ৬ হাজার ৪১৮ হেক্টর সহ মোট ১৪ হাজার ২০৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বিদ্যুত, সার ও ডিজেলের কোন সংকট না থাকার কারনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি আশা করছেন।