ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় ভূরুঙ্গামারীতে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী থেকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উপজেলার প্রায় পাঁচশত আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে গত ২২ মে ২৫৫ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযোগে জানা যায়, যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও সাবেক বিএডিসির ওসমান গনি প্রকাশিত তালিকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের শিশু, মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি এমন ব্যক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এছাড়াও মোজাম্মেল হক যিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত নন অথচ তিনি বিএলএফ কমান্ডার হিসাবে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি ওসমান গনি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদের যোগসাজসে প্রায় একশত জনকে বি এল এফ হিসাবে প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করে তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রকাশিত তালিকা নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী মাস শেষে সম্মানজনক মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও চাকরির ক্ষেত্রে সন্তানদের মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা লাভের আশায় অনেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করিয়েছেন। যা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অসম্মানজনক এবং তাদের সন্তানদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ প্রত্যয়ন পত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যাচাই বাছাই কার্যক্রম সঠিক হয়েছে তবে আমাদের বাছাই কমিটির মধ্যে ৪ জন সদস্য ৯১জনের পক্ষে তালিকা করে পরবর্র্তীতে বাছাই কমিটির বাকী ৩জন সদস্য আমি ,কমিটির সভাপতি ওসমান গনী ও সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহারুল ইসলাম ২৫৫ জনের তালিকা প্রকাশের পক্ষে থাকি। পরে বাছাই কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকায় ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন মন্ডল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলার সিরাজুল ইসলামের স্বাক্ষর ছাড়াই খসড়া তালিকা প্রকাশ করি। উৎকোচ নিয়ে নতুন তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধাদের অর্ন্তভূক্ত করন প্রসঙ্গে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণির সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার জানা মতে যুদ্ধকালীন সময়ে তের বছরের কম বয়সীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ করে নাই এমন ব্যক্তিকেও তালিকা ভুক্ত করা হয়নি। উৎকোচ এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা উৎকোচ গ্রহণের কথা বলছে তাদের কাছেই তথ্য চান।