ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
সোনাহাটে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ করে বার বার হয়রানী করার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল ভুক্তভোগী পরিবারটি।
জানাগেছে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আলিম উদ্দিনের পুত্র এবং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজুর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত মনিয়া সেখের পুত্র হাসর উদ্দিন,হাসর উদ্দিনের পুত্র ফজলুল হক,নজরুল ইসলাম,মৃত আজিজুল হক দরবেশ আমিনের পুত্র সিরাজুল ইসলাম,আয়নাল হক,মইনুল হক ও মৃত ময়েন উদ্দিনের পুত্র বদিউজ্জামানের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসে। উক্ত জমিজমা বিষয়ে থানায় এবং আদালতে কয়েকটি মামলা হলেও মামলায় মিজুর পক্ষে রায় হয়। অপরদিকে মিজানুর রহমান মিজুর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি,মাদক পাচার,ভুমিদস্যু সহ বিভিন্ন অপরাধে কয়েকবার জেলহাজতে আটক হয়ে জামিনে বের হয়ে এসে তারা মিজুকে মামলায় হারাতে না পেয়ে তাকে মাদক স¤্রাট,ছিচকে চোর এবং ভুমিদস্যু সাজিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ঐ চক্রটি। উক্ত চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী,মাদক বিক্রি এবং জামায়াতের গোপন বৈঠক বন্ধের জন্য এলাকাবাসী অভিযোগ করলে কয়েকটি পত্রিকায় তাদের বিভিন্ন অপকর্ম প্রকাশ হলে তারা আবারও উক্ত মিজানুর রহমান মিজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করায় ঐ চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ১ জুন/২০১৮ ইং তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থায় অভিযোগ করেছেন। উল্লেখ্য উক্ত চক্রের হাসর উদ্দিন গং বর্তমানে একটি চাদাবাজী মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মিজানুর রহমান মিজু সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের আব্দুর রাজ্জাক,উপজেলা শ্রমিক লীগের মিজানুর রহমান মিজান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ব্যাপারী জানান,উক্ত মিজানুর রহমান মিজু একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং সোনাহাট স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী হিসাবে তার সুনাম রয়েছে। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন থেকে সোনাহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছে,কিছু সংখ্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জমিজমা নিয়ে বিরোধে মামলা জিততে না পেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে তাকে হয়রানীর চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুড়িগ্রাম এনএসআই উপপরিচালক আবু তাহের সরকার জানান,অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকাবাসী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটিকে উক্ত চক্রের হাত থেকে রক্ষা করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান।