ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
ভূরুঙ্গামারীতে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সরকারী অনুমোদন ছাড়াই উপজেলার জয়মনিরহাট ইউপির ছোটখাটামারী চৌরাস্তা মোড়ে সিদ্দিক ডায়াগনোসিস নামে একটি ক্লিনিক খুলে অর্শ্ব,গেজ,পাইলস,ভগন্দর সহ বিভিন্ন যৌন রোগের চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। জানাগেছে উপজেলার ছোটখাটামারী গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক পল্লী চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ দিয়ে চৌরাস্তা মোড়ে একটি ঔষধের ব্যবসা শুরু করে। প্রায় ৭ বছর পুর্বে শালঝোড় গ্রামের মোছাঃ নাসরিন বেগকে বিয়ে করে। নাসরিন ভূরুঙ্গামারী সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করলেও কৌশলে নাসরিনের নামে মা ও শিশু বিষয়ে ডিএমএফ ডিপ্লোমা পাশ সার্টিফিকেট তৈরি করে ২০১৪ সালে সিদ্দিক ডায়াগনোসিস নামে একটি ক্লিনিক খুলে ক্লিনিকে অর্শ্ব,গেজ,পাইলস,ভগন্দর অপারেশন সহ বিভিন্ন যৌন রোগের চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে আসছে। ক্লিনিক মালিক আবু বক্কর সিদ্দিককে এ বিষয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করতে সরকারী অনুমোদন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ক্লিনিকের কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। এছাড়া তার স্ত্রী নাসরিন বেগমের নাম ডাঃ নাসরিন সিদ্দিক নামে প্যাডে ক্লিনিক মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক রোগীদের প্রেসক্রিপশন লেখার সময় তার প্রেসক্রিপশন লেখার বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন তার স্ত্রীর নামে ছাপানো প্যাডে প্রেসক্রিপশন লেখায় তার স্ত্রীর কোন আপত্তি না থাকলে সে লেখতে পারে। এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ এ,এস,এম আবু সায়েমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,সিদ্দিক ডায়াগনোসিস নামে ভূরুঙ্গামারীতে কোন বৈধ ক্লিনিক নেই এবং একমাত্র সিভিল সার্জন ব্যতিত অর্শ্ব,গেজ,পাইলস রোগীর অপারেশন করার অনুমতি নেই। বিষয়টি শীঘ্রই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী জানান,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তাকে নিয়ে শীঘ্রই ঐ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অনতি বিলম্বে উক্ত ভূয়া চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী করেছেন ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা