ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে বানের পানিতে ভেসে গেছে বিভিন্ন জলাশয়ের কোটি টাকার মাছ। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে মাছ চাষীরা। সম্প্রতি তেড়ে আসা বানের পানি ধুয়ে মুছে বিভিন্ন জলাশয়ের প্রায় কোটি টাকার মাছ ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় মাছ চাষীরা চরম হতাশায় পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকা কি ভাবে শোধ করবেন এ নিয়ে হতাশায় ধুকে ধুকে মরছেন। উপজেলার পঞ্চানন্দপুর গ্রামের মৃতঃ আফজাল হোসেনের শিক্ষিত বেকার ছেলে হুজ্জাতুল কর্মসংস্থান হিসেবে মাছ চাষে মনোযোগি হন। তিনি প্রায় ৭লাখ টাকা বিভিন্ন এনজিও সংস্থাসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে ময়ামারী বড় জোলা লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু তেড়ে আসা বানের পানি সব মাছ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তিনি আরো জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর যা মাছ ছিলো তাও আবার মরে গিয়ে ভেসে উঠেছে। অপর একজন মাছ চাষী একই উপজেলার পোল্লাডাংগা বেলতলা গ্রামের মৃতঃ রবুর ছেলে সরকারী জলাশয় আদাতলা দামুশ লীজ নিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাছ চাষ শুরু করলে তার মাছও ভেসে যায়। মাছ চাষী বজরাটেক গ্রামের মৃতঃ ফজলু দেওয়ানের ছেলে লাল দেওয়ান জানান, তিনি পোল্লাডাংগা কপরা লীজ নিয়ে মাছ ছাড়লে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। বজরাটেক গ্রামের নুর শাহাদার ছেলে সানোয়ার জানান, মহানন্দা নদীর পাশে গোল ঢাবে মাছ চাষ করছিলেন। সেখানে তার ১৯ লাখ টাকার মাছ ভেসে চলে যায়। এছাড়াও অনেক মৎস্য চাষীর লাখ লাখ টাকার মাছ বানের পানিতে ভেসে যাওয়ায় পথে বসতে হয়েছে মাছ চাষীদের। ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো তো দূরের কথা এখন বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকা শোধ দেয়া নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ওয়ালিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলার প্রায় ৪৯টি পুকুরের প্রায় ১কোটি ১৫ লাখ ৯৯হাজার ৪শত টাকার মাছ ভেসে গেছে তাদের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *