ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃভোলাহাটে বির্তকিত ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা যাঁচাই-বাছাই কমিটির সদস্য করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধগণ অভিযোগ করে বলেন, ভোলাহাট উপজেলার সক্রিয় ভাবে ১৯৭১ সালে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। যুদ্ধের ভয়াবহতা চোখের সামনে। রাজাকার হত্যা করেছেন এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। অথচ স্থানীয় সংসদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস আগামী ৪ র্ফেরয়ারী মুক্তিযোদ্ধা যাঁচাই-বাছাই কমিটিতে দলদলী ইউনিয়নের পঞ্চনন্দপুর গ্রামের মৃতঃ রিয়াজুদ্দিনের ছেলে আফসার হোসেনকে মনোনিত করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, আফসার হোসেনের মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি কোথায় কখন যুদ্ধ করেছেন কেউ বলতে পারে না। এদিকে সরকারের জমি জালিয়াত করে নিম্ন আদালতে সরকার বাদি হয়ে মামলা করলে তা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে আদাতলা চামুশ নামের বিশাল এক জলাশয় উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকলেও রায় পেয়ে গেছেন বলে ঐলাকায় অপপ্রচার চালিয়ে আদালতের নিয়ম তোয়াক্কা না করে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগের দাবীদার নেতার হুমকিতে জলাশয়টি দখলে নিয়েছেন এমন কি কিছু অংশ অন্যের নিকট বিক্রয় করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত মোঃ রফিক আদালতের রায়ের কপি না পাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন এবং তার দলদলী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা দিজহান তারিফ অবৈধ দখলের তদন্তের নিদের্শ দিলে অবৈধ দখল করেছেন বলে নিশ্চিত করেন। এছাড়াও অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে বির্তকিত এ মুক্তিযোদ্ধা যাঁচাই-বাছাই কমিটিতে থাকলে বাছাই কাজ পরিচালনা ব্যাবহত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করে তাকে বাদ দিয়ে প্রকৃত ও স্বচ্ছ নিরপেক্ষ মুক্তিযোদ্ধাকে বাছাই কমিটিতে সদস্য দেয়ার দাবীকরেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।