ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
ভোলাহাটে চাঞ্চল্যকর নববধূ নুশরাত হত্যা মামলার আসামী মাদকসেবী ঘাতক স্বামী সায়েমকে ২দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ভোলাহাট থানা পুলিশ। ভোলাহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ ফাছিরউদ্দিন জানান,হত্যা মামলার আসামী সায়েমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল আদালতের মহামান্য বিচারক মোঃ আব্দুস সালামের আলাদতে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ২দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। ১ম দিন সোমবার রিমান্ডে তাকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তেমন কোন তথ্য দেয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত আছে বলে জানান। উল্লেখ্য উপজেলার হোসেনভিটা গ্রামের মৃতঃ আলহাজ্ব ফজলুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মাদকসেবনকারী ঘাতক সায়েম(৩২) জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর বাবুর ঘোন গ্রামের আবুল কালামের এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া নুশরাত(১৯)কে গত বুধবার দুপুরের পর শ্বাষরোধ করে হত্যা করে। নুশরাতকে ৪মাস পূর্বে প্রতারণা করে বিয়ে করে বখাটে সায়েম। নববধূ ৩মাসের অন্তঃসত্বা ছিলো। সায়েম এর পূর্বে ২টি বিয়ে করলে ঝামেলার কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, হত্যাকান্ডের দিন সায়েম ও তার বড় ভাই অয়েশ বিশ্বাস, বজলুর রহমানের ছেলে চাচাতো ভাই রাজু বিশ্বাসসহ অন্যরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ঐ দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মৃত্যু নববধূকে বোরখা পরিয়ে অটোরিক্সায় উঠিয়ে ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় নববধরূ শ্বাষ কষ্টের সমস্যা হওয়ায় স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে এলাকাবাসিকে জানায়। এ ছাড়াও অটোরিক্সাটি সম্পন্ন কাপড় দিয়ে ঘিরে ঢেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত্য ঘোষণা করলে বাড়ী ফিরিয়ে নিয়ে এসে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে এলাকায় ঘোষণা দেন ঘাতক স্বামী ও তার স্বজনেরা। বাড়ীতে নিয়ে এসে তড়িঘড়ি নববধূকে দাফনের চেষ্টা করে সায়েম ও তার স্বজনেরা। সায়েমের চাচাতো ভাই রাজু তাদের গ্রমের মসজিদের ইমাম আব্দুল করিমকে সাথে নিয়ে ফুটানীবাজারে হাবিবুর রহমানের কাপড়ের দোকান থেকে কাফনের ১২ গজ ৮শত ৪০টাকা, গোলাপজল ও আতর ক্রয় করে। পরে পুলিশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হিষ্টোরিয়া অসুখে মারা গেছে বলে ঘাতক হত্যাকারী সায়েম বিশ্বাসের পরিবার মিথ্যা তথ্যদেন। এদিকে নুশরাতের পিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হত্যার শিকার নুশরাতকে গোসল করাতে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল বলে জানিয়েছে। এ সময় পুলিশ একাধিক তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহজনকভাবে ঘাতক স্বামী সায়েমকে ঐ দিন গ্রেফতার করেন পুলিশ। এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের সাথে যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন এলাকাবাসি। ইতিমধ্যে সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে রহনপুর মহিলা কলেজে মানববন্ধন করেছেন কলেজ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।