ক্বারী মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনাঃ
সকল প্রসংশা মহান আল্লাহর জন্য, যিনি অফুরন্ত নেয়ামত দিয়ে রজব” শাবান ও পবিত্র মাহে রমজান মাস পর্যন্ত হায়াতে তৈয়েব্যা দান করেছেন। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যিনি হালাল উপার্জন করে এবং হালাল গ্রহণ করা সহ হালাল পন্থায় ব্যায় করে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্য পবিত্র মাহে রমজানের রোজা রাখবে মহান আল্লাহ তায়ালা ঐ রোজাদার ব্যক্তির জন্য রহমত ও বরকত দান করেন, এবং ঐ রোজাদারদের প্রতিদান মহান আল্লাহ কেয়ামতের দিন নিজ হাতে বহন করেন, মহান আল্লাহ তায়ালা ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে সকল রোজাদারদের দোয়া কবুল করে থাকেন। এ ছাড়াও হযরত মোহাম্মদ.(সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে সেহেরি ও ইফতারি সহ তারাবী আদায় করা সহ একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য করে থাকেন, ঐ ব্যক্তির জীবনের গোনাহ মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিয়ে থাকেন। এই রমজান মাসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত সহ সাওয়াবের কাজ করলে মহান আল্লাহ তাহার সকল বিষয়ে জিম্মাদারি হয়ে যান। পবিত্র এই মাসে সেহেরি, ইফতার সহ ভালো কাজ করলে মহান আল্লাহ তাহার জন্য এক থেকে সত্তর বা সাতশত গুন সাওয়াব বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। যদি কোন রোজাদার কে ইফতার করান তাহলে ঐ ব্যক্তি পরিপূর্ণ একটা রোজার সাওয়াব পেয়ে থাকেন, এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা সকল কবরবাসীদের কে মাফ করে জান্নাতবাসী করেন, এই মাসে মহান আল্লাহ অনেক গোনাহগার কে চিরদিনের জন্য মাফ করে দিয়ে থাকেন, এই মাসে কোন মানুষ মহান আল্লাহর হুকুম মেনে মৃত্যু বরণ করেন, মহান আল্লাহ তাহার জীবনের সকল গোনাহ মাফ করে দিয়ে থাকেন, এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের কে গোনাহ মাফ করানোর জন্য বিশেষ আহবান করেন। তাই আসুন আমরা মহান আল্লাহর ইবাদত করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করি।