মো: রেজাউল করিম, রাজশাহী:
রাজশাহী নগরীতে মাদক স্পট বলতে সাধারন জনগন জানতো গুড়িপাড়া কে, এখন তার চেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় আছে মতিহার থানা এলাকার মিজানের মোড়, ডাঁসমারি এলাকা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ থানা এলাকা। প্রকাশে দিবালোকে বিক্রি হচ্ছে মাদক। ভারতীয় নিষিধ পণ্য মাদক ফেনসিডিল, হিরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, হরহামেশা পাওয়া যাচ্ছে। টাংগন এলাকার শেষ মাথা থেকে মতিহার থানা পর্যন্ত সকল এলাকায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মত বিরাট এক বিদ্যা পিঠের সামনে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, যা নগরীর সুধী সমাজ থেকে শুরু করে সাধারন জনগণের মনে এক উদবেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে, এই ভেবে যে কি হবে ভবিষৎ প্রজন্ম শ্ক্ষিাথীদের। একদিকে আর এম পি পুলিশ যখন মাদক ও জঙ্গিবাদ র্নিমূলে রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে অপরদিকে কিছু অসাধু কর্মকর্তার নেত্বতে মতিহার থানা এলাকার মাদক সম্রাট আলমগীর হোসেন আলো, সাহাঙ্গীর, আক্কাস, বাবু ওরফে ফেনসি বাবু, মতিহার থানার ঐ সকল অসাধু কর্মকর্তার সাথে মিলে দিনের আলোতে শিক্ষা নগরী ক্ষ্যত রাজশাহীর যুব সমাজের হাতে তুলে দিচ্ছেন মাদক। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক মিজানের মোড় এলাকার মসজিদের ইমাম জানান, মির্জাপুর ফাঁড়ি এ টি এস আই কামরুজ্জাম মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরের অঘোষিত ক্যাসিয়ার। তিনি আরো জানান প্রতিটি মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট হতে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে মাদক ব্যবসার সুবিধা প্রদান করে আসছে মতিহার থানা পুলিশ। এছাড়া প্রতি মাসে থানার মাদক মামলা বৃদ্ধি দেখাতে নিরীহ সাধারন জনগণকে গ্রেপ্তার করে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট হতে পানি ভর্তি ফেনসিডিলের বোতল দ্বারা চালান করেন। এরকমই একটি ঘটনা ঘটে গত বছর ডিসেম্বর মাসে চরশ্যামপুর এলাকার মজিবুল নামে একজন কে এটিএস আই কামরুজ্জামান বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ৮ (আট) বোতল ফেনসিডিল দ্বারা চালান করেন। কিন্তু ঐদিন আগের রাতে মজিবুলের নিকট হতে ১০ (দশ) হাজার চেয়েছিল কনস্টবল ফিরোজ মারফত এটিএসআই কামরুজ্জামান টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে পরে দিন শুক্রবার সকাল ১০ টায় মজিবুল কে আটক করে মির্জাপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে মাদক আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান। অপরদিকে সত্যিকারের মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে মিজানের মোড় থেকে এ টি এস আই কামরুজ্জামান ও কনস্টবল ফিরোজ হারুন, সোহেল, তিথি নামে তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাথী নদীর ধারে ঘুরতে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করে মাদক দিয়ে মামলা দেওয়া ভয় দেখিয়ে নয় হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। সরজমিনে গিয়ে ডাসমারি এলাকার জামাল, করিম, শফিক নামে একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বললে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীদের দাঁপটে এলাকায় থাকা যায় না, বুঝিনা তারাঁ (মাদক ব্যবসায়ীরা) এত ক্ষমতা পায় কোথা থেকে? এছাড়াও গত বছর ডিসেম্বর মাসে মতিহার থানার একজন এ এস আই সামিউল কে মাদক ব্যবসায়ীরা মেরে গুরুতর জখম করলেও এখন পযর্ন্ত অঞ্জাত কারণে মূল হোতা রা ধরাছোয়ার বাইরে। গত থার্টিফাস্ট রাতে মতিহার এলাকায় ৭০জন কে (গণ গ্রেপ্তার) গ্রেপ্তার করেন বিভিন্ন এলাকার পিকনিক পালন কারী সাধারন শিক্ষাথী, ছেলে, বুড়ো, সকলকে। পরে সকল কে ছেড়ে দেন মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির। উক্ত ৭০ জন গ্রেপ্তার হওয়া লোকজনের মধ্যে কিছু লোক জানান, যাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে পুলিশ। আরো জানা যায়, যে সকল আসামী টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে আর এম পি মামলায় চালান করেন পরের দিন সকাল ১০ টায়। কাটাখালি পূর্বপাড়া এলাকার আশরাফুল নামে এক চায়ের দোকানদার জানান, মতিহার থানার এক কনস্টবল কাটাখালি এলাকার সকল মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট হতে মাসিক মাসোয়ারা উত্তোলন করেন। ঐ কনস্টেবল মতিহার থানা ও সি র বডিগার্ড বলে নিজেকে পরিচয়ও দেন।
একদিকে যখন আর এম পি পুলিশ বড় বড় কর্মকর্তারা মাদক র্নিমূলে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন, যার ফল স্বরুপ গত বছর ডিসেম্বর মাসের পঞ্চবট্টি এলাকার ৪৫ জন মাদক ব্যবসায়ী মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের হাতে হাত রেখে ওয়ার্দা করে মাদক ব্যবসাকে না বলেছেন। এছাড়া গুড়িপাড়া এলাকায় অনেক মাদক ব্যবসায়ীও মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। সফলতার কমতি নেই বর্তমান পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের বিশেষ করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস এবং মাদক নিমূর্লে।
মতিহার থানা এলাকার মাদক ছাড়াছড়িতে যে প্রভাব বিস্তার করেছে তা কতটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাথীদের উপর পরবে তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রফেসরের সাথে কথা বলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশে এলাকায় কোন প্রকার মাদক ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না। যদি বিশ্ব বিদ্যালয় এলাকায় মাদক বিস্তার করে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশে যত ছাত্র-ছাত্রীবাস আছে তারাও মাদকে জড়িয়ে যাবে তাতে শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।
মতিহার থানা এলাকার মাদক বিস্তার সম্পর্কে রাজশাহী আর এম পি (মিডিয়া মূখপাত্র) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতে-খায়ের আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমান কমিশনার মাদক ও জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ নিমূর্লে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফল মহানগর বাসি নিজের চোখে দেখতে পারছেন। এমনিকি বর্তমান কমিশনার নেত্বেত পুলিশের বিশেষ টহল প্রতিরাতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে আছে, যাতে কোন প্রকার ছিনতাই, চুরি ,ডাকাতি না হয়। তবে মতিহার থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতের পুলিশ অভিযান অবহৃত আছে। প্রতিরাতে মতিহার থানা এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করছে পুলিশ।