শেখ সাইফুল ইসলাম কবির :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদারের সহযোগীতায় একটি অসহায় বিধবা সংখ্যালঘু পরিবার তার স্বামীর পৈত্তিক ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে।

এ পরিবারটি মেয়রের সহযোগীতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাদের পারিবারিক কুচক্রীমহলটির প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই ও আইনী সহায়তা পেতে বৃহস্পতিবার সকালে মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিধবা অসহায় বৃদ্ধা গীতা রানী হালদার।
জানা গেছে, গীতা রানীর স্বামী ভাস্কর মিস্ত্রি মারা যাবার পর একমাত্র মেয়ে উমা কংকরী মিত্রকে নিয়ে শ^শুর শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের উপেন্দ নাথ মিস্ত্রির তত্ত¡াবধায়নে ছিলেন। শ^শুর মারা যাবার আগে তার অপর পুত্র পংকজ কুমার মিস্ত্রি ও তাকে ওয়ারিশ হিসেবে রেখে যান। তার স্বামীর নিজ নামীয় সম্পত্তি ও জমি-জমা থাকা সত্তে¡ও তার ভাশুর পংকজ কুমার মিস্ত্রি এ সম্পত্তি থেকে তাদের বঞ্চিত করার যড়যন্ত্র করে আসছে। পংকজ কুমার মিস্ত্রি তার মৃত.ভাইকে ওয়ারেশ বাদ দিয়ে নিজের একক নামে ওয়ারেশ কাম সার্টিফিকেট সৃজনকরতঃ জমি-জমার মাঠ পর্চ্চা তৈরী করে নেন।

এদিকে মোড়েলগঞ্জ পৌর শহরের তার শ^শুড়ের বাস্ত বাড়ি একক নামে নেয়ার জন্য পৌরসভায় একক ওয়ারেশ হিসেবে আবেদন করেন পংকজ কুমার মিস্ত্রি।
বিষয়টি জানতে পেরে অসহায় বিধবা গীতা রানী মেয়র মহোদয়কে অবহিত করেন এবং তার ন্যায্য দাবি আদায়ে পৌর মেয়রের সহযোগীতা কামনা করে। পৌর মেয়র বিষয়টি দ্রæত নিষ্পত্তির জন্য পংকজ কুমার মিস্ত্রি নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিজস্ব শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌরসভাধীন বাস্ত বাড়ি কলেজ রোড যাহা ডাঃ হরষিত বেপারীর চেম্বার হিসেবে পরিচিত। চাবি হস্তান্তর করেন। বর্তমানে সেই বাস্তবাড়ি গীতা রানী ও তার জামাতা অপূর্ব কুমার সমদ্দারের অধীনে ভোগ দখলে রয়েছে। বাকী জমি-জমাও তার ভাশুর পংকজ কুমার মিস্ত্রি এককভাবে ভোগ দখল করছেন।
এ অহসায় পরিবারটি তার মৃত.স্বামীর ওয়ারেশী জমিও বুঝে পেতে চান। কিন্তু সুচতুর ভাশুর পংকজ কুমার মিস্ত্রি জমি-জমা এককভাবে ভোগ দখলের জন্য নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন