বিশেষ প্রতিবেদক,
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। সাগর কন্যা নামে খ্যাত এ হাতিয়া দিন দিন হয়ে উঠছে বসবাস অনুপযোগী জনপথে। গত তিন দশক চিহ্নিত একটি মহলের স¤্রাজ্যে রুপান্তরিত হয়েছে হাতিয়া। শাষন, শোষন, সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে স¤্রাজ্য কর্তিক। আর এই স¤্রাজ্যের একক অধিপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী। এখানে ব্যাক্তির ইচ্ছাই বড়। দলীয় বা সংগাঠনিক কোন কর্ম বা সিদ্ধান্তই যেন এই উপজেলায় টিকে থাকতে পারে না। বলতে বলতে খুন, ধর্ষন, রাহাজানি এখানকার নিত্যনৈভিত্তিক ব্যাপার। ব্যাক্তি আগ্রাসিতার কারনে বি এন পির নেতা কর্মীদের দিয়ে পেটানো হচ্ছে আওয়ামীলীগের মহানেতা দাবিদার স¤্রাজ্যের অধিপতির নির্দেশে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সোনাদিয়া ইউনিয়ন থেকে বি এন পির প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে পরাজিত জোবায়ের নামে এক বি এন পি নেতা যোগদেন মোহাম্মদ আলীর সাথে। আর এই জোবায়ের এর বিরুদ্ধে উঠেছে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ। হাতিয়ার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা জানান, এই জোবায়ের প্রতিদিন দুই চার জন করে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের পেটাচ্ছে। এরকম অসংখ্য অনিয়ম হাতিয়ায় নিয়মে পরিনত হয়েছে। হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা আসা যাওয়া করতে পারে না। মোহাম্মদ আলী সমর্থকরা তাদের উপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই চেয়ারম্যান ঘাট নিয়ন্ত্রনকারীরাই হুননি ইউনিয়নের একটি মেয়েকে গণধর্ষণ করে। যাদের বিরুদ্ধে গন ধর্ষণের মামলা হয়েছে, তারাই স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে বসে মামলা বাদীদের হয়রানি করছে। উল্টোরথের হাতিয়া। শত অনিয়ম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঁচতে এবং আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের অধিকার রক্ষা করতে উপজেলা আওয়ামীলীগ গত ২৮ জানুয়ারী এক বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে। এই বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি পদে বিশিষ্ট সমাজসেবক মাহমুদ আলী রাতুলের নাম প্রস্তাব করে এবং আগামী সংসদ সদস্য নির্বাচনে এই নির্বাচনী এলাকা থেকে আওয়ামীলীগ দলীয় একক প্রার্থী হিসেবেও মাহমুদ আলী রাতুলের নাম প্রস্তাব করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার এই সব প্রস্তাবনা রেজুলেশন আকারে কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগে প্রেরণ করা হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা জেলা সদরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জেলা সাধারন সম্পাদক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে তারা হাতিয়ার আলী সা¤্রাজ্যের নির্যাতনের বিশদ বিবরন তুলে ধরেন। সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী অত্যান্ত ধৈর্য্য সহকারে নেতা কর্মীদের অভিযোগ শোনেন এবং আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। বিমুর্ষ এবং অমানবিক নির্যাতনের বর্ননা শুনে একরামুল করিম চৌধুরী কিছু শান্তনা মূলক ও কিছু সংগাঠনিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। একরাম চৌধুরীর দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যে হাতিয়া আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত হলেও খুশী হতে পারেননি আধিপত্য বাদি ও সা¤্রাজ্যবাদীরা। তারা সংসদ একরামুল করীম চৌধুরীর বক্তব্যকে ভিন্ন খাতের প্রবাহিতের চেষ্টায় নাম সর্বস্ত্র কিছু অনলাইন মিডিয়ায় মন গড়া সংবাদ প্রকাশ করে। অবশ্য পরবর্তিতে এসব সংবাদ সমূহ প্রত্যাহার ও করে নেওয়া হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রীয় হচ্ছে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। যারা দলের প্রকৃত নেতা কর্মীদের নানাবিধ ভাবে বিব্রত করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে চায়। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের সচেতনতায় তাদের সে স্বপ্ন সফল হবে না বলে দাবি বিজ্ঞ মহলের। বিশেষ করে হাতিয়ার চলমান সা¤্রাজ্যের পতন ঘটে প্রতিষ্ঠিত হবে গন মানুষের শাষন- যেখানে মাহমুদ আলী রাতুলের নেতৃত্বে হাতিয়ার লক্ষ্য লক্ষ্য জনতা থাকবে নিরাপদে। এমন প্রত্যাশা করেই জেলার রাজনৈতিক বোদ্ধারা।