ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার চাড়াখালি এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেছে। এই মামলার আসামি মোঃ জামালকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গালুয়া পাকাপুল এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়েছে। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মোসাঃ সামিরা আক্তার, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, যুবসমাজ এর পক্ষে মোঃ বাপ্পি মিয়া, রাকিব মিয়া , মোঃ জাকারিয়া হোসেন,এছাড়াও এ সময় ঐ কিশোরীর পরিবারের স্বজনরা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ধর্ষণের মত এমন একটা জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পরে মামলা দায়েরের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও আসামী ধর্ষক জামাল হোসেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগি পরিবারের।

মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক যাতে ভবিষ্যতে আর কোন মা-বোনকে ধর্ষণের শিকার হতে না হয়। বক্তরা আরো বলেন ধর্ষণকারী প্রভাবশালী হওয়ায় এখনও পুলিশের হাতে আসামী গ্রেফতার হচ্ছে না।

উল্লেখ্য কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গত ১২ জুলাই কিশোরীর বড়বোন বাদী হয়ে ধর্ষণকারী মোঃ জামাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১০)। সহজ সরল কম বুদ্ধি সম্পন্ন ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া কিশোরীকে বিভিন্ন সময় কৌশলে একাধিকবার ধর্ষণ করে আসছিল। এ ঘটনা কতিপয় লোক দেখে ফেলায় এলাকায় জানাজানি হয়। পরে বিষটি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বিচারের দাবী উঠলে ধর্ষক ও তার আত্মীয়স্বজন ১২ জুলাই সকালে ধর্ষীতার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এতে ঐ কিশোরীর বাবা ও চাচা গুরুত্বর আহত হলে এদেরকে আহত আবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজাপুর মেডিকেলে ভর্তি করে। আহতরা এ ঘটনার মামলা দায়ের করতে রাজাপুর থানায় এলে থানা পুলিশ শুধুমাত্র ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফ আব্দুল মান্নান বলেন, আসামি গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আসামি এলাকার বাহিরে গা ডাকা দিয়েছে। তবে দ্রুত গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *