রাজারহাট প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের প্রতিবছরে তিস্তা নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পরেছে তীরবর্তী মানুষ। গত এক মাসের ব্যবধানে তিস্তা নদী বেষ্টিত উপজেলার রাজারহাটে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউপিতে তিস্তার বিধ্বংসী ভাঙ্গনে প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি সহ তিন কিলোমিটার বাঁধের রাস্তা এবং ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে, হুমকির মুখে পরেছে দুই ইউপির শতাধিক ঘরবাড়ি, স্কুল মাদ্রাসা, মাজার শরীফ সহ সেতুর সংযোগ রাস্তা।
রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাব খাঁ ও গতিয়াসাম মৌজার, সাইদুল, এরশাদ এনামুলের বসতভিটা সহ ফসলি জমি তিস্তা নদীর পানির স্রোতের করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে।
হুমকির মুখে রয়েছে বড়দারগাহ সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়, বুড়িরহাট বাজার, কালীর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনার জুম্মা মসজিদ সহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মাজার শরীফ। বসতি হারা মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের জমিতে। নদী ভাঙা আশ্রিত অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর রাখেনি সরকারের প্রতিনিধি কিংবা জনপ্রতিনিধি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি এলাকায় প্রতিটি ঘরবাড়ি সাত থেকে আটবার সরিয়ে নিয়েছে আতিয়ার হোসেন। আবারও নদীতে বিলীন হয়েছে রামহরি এলাকার মর্জিনা, কাদের, ওহাব, রহিম উদ্দিন, তোপাজ্জল, রহমত, গোলেনুর, আব্দুল গফুর, আনোয়ার, শফিক, হাকিম, ছয়ফুল, এরশাদ, রহিম মিস্তিসহ আরও অনেকের বসতবাড়ি।
স্থানীদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারা দায়িত্ব পালন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষজন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারের উপর।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়নবোর্ডের এসডি মাহমুদ হাসান মুঠোফোনে প্রতিবেদক জানান, জেলার মোগলবাসায় আমাদের লোকজনকে মারছে, সবাই হাসপাতালে তাই আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে।