কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ধনঞ্জয় চৌরাস্তা গলাকাটা (নয়া বাজার) বাজারে সরকারী খাসজমি অবৈধভাবে দখল এবং ভক্ষণচেষ্টা রাজারহাট উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) আকলিমা বেগমের হস্তক্ষেপে ভেস্তে গেছে।
আজ রবিবার (০১ নভেম্বর) সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) আকলিমা বেগমের নেতৃত্বে রাজারহাট থানার এএসআই নাসিরুল ইসলাম, কং জাহিদ এবং কং জাহাঙ্গীরের উপস্থিতিতে সরকারী খাসজমির অবৈধ সকল স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ নিয়ে জানা যায়, ধনঞ্জয় মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ৩৬১, ৩৬২ এবং ৩৫৮ এই তিন দাগের মোট ৮ শতক জায়গায় অবৈধভাবে দোকানপাট স্থাপন করে জবরদখল করে আসছিল।
এরই মধ্যে দখলের পাশাপাশি উক্ত জায়গা অবৈধভাবে আশরাফ নামক ব্যক্তির কাছে প্রায় ১০ বছর ধরে ভাড়া প্রদান করে নিয়মিত ভাড়াও আদায় করে আসছিলেন অবৈধ দখলদার ফারুক হোসেন। আশরাফ পরবর্তীতে উক্ত জমির বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করলে তা জানাজানির মাধ্যমে ফারুকের কানে পৌঁছলে তাদের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, সরকারী খাসজমি যে কোনো ভূমিহীন কেউ বন্দবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে তাতে দোষের কিছু নেই।
অত্র এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোস্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখানে (গলাকাটা) কোনো বাজার ছিলো না। আমরাই বাজার স্থাপন করেছিলাম। এখানে তিন দাগের খাস জমি ছিলো এটাও জানতাম। কিন্তু খাসজমি নিয়ে কিছু ব্যক্তির অভ্যন্তরীর কলহের ফলে বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটির সৃষ্টি হয়। এখন সরকারী জমি সরকার যা ভালো হয় তাই করবে বলে আশাকরি।
রাজারহাট থানার এএসআই নাসিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি থানায় আমরা আগেই অবহিত হয়েছি। বড় ধরনের সংঘর্ষেরও আভাষ পেয়েছিলাম। তাই আমরা আগেভাগেই এর সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জমির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন এসিল্যান্ড মহোদয়।
এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলার সহকারী ভুমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) আকলিমা বেগম জানান, আমরা অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেছি এবং সরকারী প্রসেস অনুযায়ী আমরা উক্ত ভূমির সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করব।