তৈয়বুর রহমান কুড়িগ্রাম ঃ

কুড়িগ্রামের চররাজীবপুর উপজেলার দিয়ারারচর মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জুলফিকার আলী ওরফে জলপাই স্যার ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক স্কুল আসা বন্ধ করে দিয়েছে। গত ৭ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল শুক্রবার স্কুল পরিচালনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষককে তার পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত সম্বলিত রেজুলেশন গ্রহণ করেন যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে দেয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত লম্পট ওই শিক্ষক এর আগেও ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে একাধিকবার যৌন হয়রানির চেষ্টা চালিয়েছে।
এদিকে এলাকার শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও এলাকাবাসি বিক্ষোভ মিছিল করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে। নিযার্তিত ছাত্রীর মা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মানুষের মাধ্যমে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি এ নিয়ে কোথাও অভিযোগ করলে নিযার্তিত ছাত্রীর জীবননাশ করে দেয়া হবে বলে ঘোষনা দিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক জুলফিকার আলী।
অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার দিন নিযার্তিত ছাত্রীকে স্কুলের ফাঁকা একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত শিক্ষক। এ ছাড়াও কয়েক মাস আগেও দুজন ছাত্রীকে যৌন নিযার্তন করে। যা ধামাচাপা দেয়া হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের মতামত নেয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ফোন ধরেন না।
এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ঘটনা সত্য। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তাছাড়া স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সবাই অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিস্কারের দাবি সম্বলিত রেজুলেশন গ্রহন করেছে। যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেয়া হবে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ৫ দিনেও কেন ব্যবস্থা নেয়া হলো না-এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত চক্রবর্তির কাছে এঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি।’
##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *