রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার প্রথম শহীদ মিনার এ বছর তার মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। নেকমরদ আলিমউদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালিন প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭৩ সালে এই শহীদ মিনারটি নির্মান করা হয়। সেই থেকে এলাকাবাসি যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি এই শহীদ মিনারে এসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাত। সামপ্রতিক সময়ে নেকমরদ চৌরাস্তা মোড়ে আধুনিকতার ছোয়ায় শহীদ মিনার নির্মান করা হলে প্রথম শহীদ মিনারের কদর কমে আসে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম শহীদ মিনারের প্রতি কোন প্রকার খেয়াল রাখতেন না। শহীদ মিনারে হরিভাজন সম্প্রদায়ের লোকজন সহ ডজন খানেক কুকুরের আস্তানায় পরিণত হয়। নোংরা কাপড় চোপড় মেলে রাখা হতো সেখানে। গত ৭ ডিসেম্বর’১৬ তারিখে মমতাজ বেগম মিরা প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বভার নেওয়ার পর শহীদ মিনার চত্ত্বরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনেন। শহীদ মিনারটি রং তুলির আঁচড়ে করে তোলেন সৌন্দর্য মন্ডিত। ২১ ফেব্রুয়ারী যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ মিনারে ফুলেল শুভেচ্ছার মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান হবে। এ ব্যাপারে আলিমউদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগম মিরা জানান, ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার পরিচর্যার কাজ করা হয়েছে। রাণীশংকৈল উপজেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে এটিকে আধুনিকতার ছোয়ায় রূপান্তর করার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।