রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা ঃ
-ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই মোছাঃ জবেদা খাতুন স্মৃতি কউমী লিলাহবডিং মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে সরকারী বিভিন্ন অনুদান ও ভাতার লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মাদ্রাসাটিতে কোন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে একটি এতিম শিক্ষার্থী নেই। এছাড়াও মাদ্রাসায় পড়া শুনার কোন পরিবেশ নেই অথচ এতিম খানার নাম করে বিভিন্ন সময় সরকারী বিভিন্ন অনুদান গ্রহন করছেন এতিমখানা পরিচালনা পর্ষদ। মাদ্রাসাটির মোট ৪টি কক্ষের মধ্যে ১টি কক্ষে মরিচের মজুদ রয়েছে, আর ২টি কক্ষ তালাবদ্ব অবস্থায় রয়েছে আরেকটিতে ভেলাই দ। আরও বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়,সমাজ সেবা অধিদপ্তর এর মাধ্যমে এতিমখানাটির লোকজন ১৩জন এতিম শিক্ষার্থীর নাম করে বিভিন্ন সরকারী অনুদান নেন। অথচ অবাক করা বিষয় হচ্ছে ঐ এতিমখানায় কোন এতিম শিক্ষার্থী নেই । এ প্রসঙ্গে স্থাণীয় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ব বলেন,এখানে কোন এতিমখানা নেই এবং কি কোন এতিম শিক্ষার্থী এখানে পড়ে আমাদের জানা নেই,তিনি আরোও বলেন সেটি একটি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় বলে আমরা জানি। মাদ্রাসার প্রধান সোনালী বেগম ৩ জন শিক্ষকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি শুধুমাত্র কাগজে কলমে প্রধান,অফিসিয়ালি কাজ করেন আমার সহকারী শিক্ষক সোহেল এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে সমাজ সেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান,আমি তদন্ত করে দেখেছি এখানে কোন এতিম শিক্ষার্থী নেই,এতিমের নামে তারা সরকারী অর্থ আর্ত্বসাত করেই চলছে,এবার তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।