রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাজবাড়ী(বন্দর) খাদ্য গুদাম ফাড়িয়া আর দালালদের দখলে। ঐ খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুরের সাথে কথা বলতে গেলেই তারাই অফিসারের পক্ষ হয়ে কথার জবাব দেন। ঐ দালালরা হলেন রাজবাড়ী এলাকার ছাত্রদল নেতা আনসারুল ইসলাম এবং আমজুয়ান গ্রামের বুধু। ২৫ মে ঐ খাদ্য গুদামে গম সংগ্রহ বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা তথ্য নিতে গেলে খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুরের সাথে কথা বলার এক সময় সেখানে এসে উপস্থিত হন ঠাকুরগাও-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলীর ভাতিজা পরিচয়ধারী তরিকুল ইসলাম। উপস্থিত হয়ে বলেন সাংবাদিকদের এখানে কি সাংবাদিকরা পাল্টা আপনিকে প্রশ্ন ছুড়লে উত্তরে বলেন আমি একজন কৃষক এবং ইয়াসিন এমপির ভাতিজা। আপনি কৃষক হলে আপনাকে গম ঢুকানোর জন্য অনুমতি পত্র কে দিয়েছে কৃষি অফিস না অন্য কোন দপ্তর? তখন তিনি রেগে গিয়ে বলেন আমি এমপির ভাতিজা তরিকুল আমাকে স্লিপ দেওয়া লাগে না বলে ঐ রুমেই হট্রগোল করতে শুরু করেন সাংবাদিকদের সাথে এছাড়াও ফাড়িয়া ও মিলার জালালও বলতে থাকেন যেখানে প্রশাসনসহ সবাই চুপচাপ সেখানে সাংবাদিকদের কি ? খামাখা আমাদের ব্যবসায় ঝামেলা করতে এসেছে এখন গম সংগ্রহ হচ্ছে এখন কি কৃষকের ঘরে গম আছে নাই তাহলে গমতো ফাড়িয়ারাই ঢুকাবে । এক পর্যায়ে খাদ্য গুদামের ভিতরের অবস্থান কৃত দালাল ছাত্রদল নেতা আনসারুল ইসলাম ও বুধুও খাদ্যগুদামের ভিতরেই বিভিন্নভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের। যদিও সাধারন মানুষের খাদ্য গুদামে ঢুকার অনুমতি নেই কিন্তু দালাল আনসারুল ও বুধু হারহামেশায় সেখানে প্রবেশ করেন এবং বের হন। এবং অফিসারের রুমের সামনে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে থাকেন। অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে উপজেলায় সরকার কৃর্তক সরাসরি কৃষকের নিকট গম সংগ্রহ অভিযানের বরারদ্দকৃত ৩০৪৭ টন গমের তালিকা ইউএনও,এমপি,চেয়ারম্যান,রাজনৈতিক দলের নেতারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন এবং বিধি নিয়ম থাকায় তাদের মনোনীত কৃষকদের কৃষি কার্ড দিয়ে ফাড়িয়াদের নিকট গমের স্লিপ চার থেকে পাচ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর তার বিনিময়ে ফাড়িয়ারা বেশি লাভে গম বিক্রি করছেন খাদ্য গুদামে। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল বলেন,সাধারন কোন মানুষ গুদামে থাকতে পারবে না। আপনাদের বিষয়টি আমি গুরুত্বে সাথে দেখছি।