রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার ৪নং লেহেম্বা ইউনিয়নের বর্ম্মপুর এলাকায় ২২ লক্ষ টাকায় নির্মিত আধা কিলোমিটার রাস্তা নির্মানের ১ মাস না পেরুতেই কার্পেটিং উঠে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । এদিকে উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেলালউদ্দীনের বক্তব্য রাস্তা নির্মানে কোন অনিয়ম হয়নি। তবে ঐ রাস্তায় ট্রলি, পাওয়ার ট্রলি, হালের গাড়ী চলতে পারবে না চললে রাস্তা বেশিদিন টেকসই হবে না। তবে স্থানীয় জনসাধারণ রফিক,কেরামত,কদ্দুসসের বক্তব্য এটি গ্রামীন জনপদ এ রাস্তার পাশে একর একর ফসলি জমি রয়েছে । এ জমিগুলোতে হাল চাষের জন্য হালের গাড়ী ধানসহ বিভিন্ন ফসল বহনের জন্য ট্রলি চলাচল করবে এটা সবাই জানে অথচ এলজিইডি অফিস বলছে এ সমস্ত গাড়ী চললে রাস্তা টিকবে না তাই বলে রাস্তা নির্মানের মাস না পেরুতেই কার্পেটিং উঠে যাবে তাহলে তো এ রাস্তা করার কোন দরকারেই ছিলো না। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটি ডেন্স(চীফ পাথর ব্যতীত) কার্পেটিং করা হয়েছে। কার্পেটিং দেখে বুঝা যায় গতকালেই রাস্তা কার্পেটিং করেছে,এখনো ঠিকমত শক্তই হয়নি। অথচ রাস্তা নির্মান হওয়ার বয়স প্রায় ১মাস রাস্তার সাইড গুলোতে সাইকেলের টায়ারের চাপ পেলেই সরকে যাচ্ছে বিটুমিন যুক্ত পাথর। এছাড়াও রাস্তার বিভিন্ন অংশে রাস্তা উঠে যাচ্ছে যদিও সেই অংশগুলোতে নেই কোন গাড়ী চলাচলের ছাপ আপনাআপনি উঠে যাচ্ছে বিটুমিন মিশ্রিত পাথর। খোজ নিয়ে জানা যায় নিন্ম মানের বিটুমিন আগুনে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে অধিক জ্বালিয়ে পাথরের সাথে মিশ্রিত করাই এমন বেহাল অবস্থা রাস্তাটির। এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়,প্রায় ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দে চুক্তি অনুযায়ী গত ৪ অক্টোবর ২০১৬ সালে শুরু হয়ে শেষ হবে অক্টোবর২০১৭ সালে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের ৪মাস আগেই জুন মাসে নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মামুন এন্টারপ্রাইজ রাস্তাটির কাজ সমাপ্ত করেন। রাস্তা নির্মানের কাজটি সময়ের আগে শেষ হলেও রাস্তাটি হয়েছে অত্যন্ত নিন্মমানের। এ কারণে ঐ এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়াও উপজেলা এলজিইডি অফিসের আওতায় নির্মানাধীন রাস্তাগুলোতে প্রায় অনিয়ম হচ্ছে। ইটের বদলে দেওয়া হচ্ছে ভাটার পরিত্যাক্ত ইট,নিন্মমানের বিটুমিন। দেখে না দেখার ভান করছেন উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে এ ধরনের অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা সোচ্চার হলেও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ফেলছেন উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর। আর এ কারনেই অনিয়মগুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আর প্রকৌশলী দপ্তর যোগসাজসে করছেন দেদারসে। সম্প্রতি ক্ষুদ্র বাশঁবাড়ী গ্রামের ১ কিঃমিঃ রাস্তায় অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও সেটি দায়সারাভাবে সেড়ে ফেলেছেন উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামের কাছে তথ্য চাইতে গেলে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেলালউদ্দীনকে দেখিয়ে দেন পরবর্তীতে তিনি তথ্য দিয়ে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন,এ রাস্তায় ট্রলি, পাওয়ার ট্রলি,হালের গাড়ী চললে রাস্তা বেশিদিন টেকসই হবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *