কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী কলেজ মোড় চামরার গোলার সামনে রুশা ডিজিটাল ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে নেওয়াশী ইউনিয়নের উত্তর সুখাতী গ্রামের একজনকে যৌন নির্যাতন করায় নাগেশ্বরী থানায় ১২ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুশা ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার জালাল জয়, দোহা মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতিত নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর- ১৮।
এদিকে রুশা ডিজিটাল ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনে মামলা হওয়ার পরেও ১২ ডিসেম্বর ঢাকঢোল পিটিয়ে রুশা ডিজিটাল ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার উদ্ভোধন করেন।
মামলা সূত্রে ও মামলার বাদি জানান, নাগেশ্বরী কলেজ মোড় চামরার গোলার সামনে রুশা ডিজিটাল ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম সরকারের নির্দেশে রুশা সেন্টারের ম্যানেজার জালাল জয় চাকুরী দেয়ার নামে আমাকে ১১ ডিসেম্বর সন্ধায় নাগেশ্বরী বাসষ্টান্ড থেকে মটরসইকেল যোগে জালাল জয় সাতানী পাড়ার দোহা মিয়ার বাসার ভিতরে টেনে হেচরে রুমে নিয়ে গিয়ে ৪/৫ জন মিলে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। আমি জীবন বাচার তাগিদে চিৎকার ও পালানোর চেষ্টা করলে তারা আমাকে বেদম মারপিট করলে চোখ, মুখ হাত ও পা কেটে যায়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক আইরিন আমার হাতে সেলাই ও পায়ে ব্যন্ডেস করে ভর্তি করান।
নাগেশ্বরী কলেজ মোড় চামরার গোলার সামনে অবস্থিত রুশা ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম সরকারের সাথে স্বাক্ষাতের চেষ্টা করাসহ তার ০১৩১৪১০৮০৯২,০১৩১৪১০৮০৯৪ ব্যবহারিত নম্বরে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলার স্থানীয়দের অভিযোগ, রেজাউল করিম সরকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে সরকারী বিধিমালা অমান্য করে অবৈধ ভাবে নাগেশ্বরীতে রুশা ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার খুলে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের যৌন নির্যাতন করে আসছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নির্মলেন্দু রায় মানিক জানান, রুশা ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার সিভিল সার্জেন অফিসে যোগাযোগ করছে কি-না তা আমি জানি না এবং উদ্ভোধনের বিষয়েও আমি জানি না। সিভিল সার্জেন আমকে দেখার অনুমতি দিলে আমি দেখব।
নাগেশ্বরী থানার এস আই ও মামলার তদন্তকালী কর্মকর্তা মাসুদ করিম বলেন, রুশা ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার জালাল জয়, দোহা মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু আইনে মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।