ঢাকা থেকে সংবাদদাতাঃ
২০ দলীয় জোট নেতা ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে সরকারকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শরণার্থী রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, খাদ্য ও নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির উদ্যোগে মায়ানমার সরকার কর্তৃক আরাকানে মুসলমান নারী-পুুরুষ, শিশু-কিশোরদের গণহত্যা, খুন, ধর্ষণ এবং বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এক নাগরিক মানববন্ধনে তিনি এ দাবী জানান।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন আকাশ এর সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মানবাধিকার জোটের মহাসচিব মিলন মল্লিক, মানবাধিকার সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনাকে ব্যবহার করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারের তেল-গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠনে চীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি সামাজ্যবাদীরা মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যায় সমর্থন দিয়ে চলেছে।
তিনি জাতীয় সংসদে মিয়ানমারের গণহত্যার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব না তোলার সমালোচনা করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার মানবতার ধোকা দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ, গণহত্যা, জনগণের জীবন ছিন্ন ভিন্ন করে তাদের উদ্বাস্তু করেছে। একমাত্র সমাজতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থা জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে পারে। রোহিঙ্গা জনগণের উপর গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। তাদের যথাযথ আশ্রয় দিতে হবে ও স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশ্ব বিবেক ও মানবতা এখন রোহিঙ্গা বিদ্বেষী মন্তব্য করে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা জাতিসংঘের ভূমিকা খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের রক্তপাত ঘটেই চলেছে। অথচ আন্তর্জাতিকভাবে সুচি সরকারকে চাপ প্রদান করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মুসলমানদের নির্মুল করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জাতিগত এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক দলকে ভেদাভেদ ভুলে মায়ানমারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি নোবেল কমিটি ও জাতিসংঘের কাছে সুচির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার ও ক্ষমতা থেকে পদচ্যুত করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সরকার রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার নাম করে খাবার, বাসস্থান ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। সরকার রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। কুটনৈতিকভাবে এর সমাধানের জন্য চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্তে বার্মার সেনাবাহিনীর গুলি বিনিময় ও বাংলাদেশের আকাশ সীমানার ভেতরে মায়ানমার বিমান বাহিনীর টহল দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি।