শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার সীমান্তের ১০টি গ্রামে ভারতীয় বন্য হাতির তা-বে অতিষ্ট সীমান্ত এলাকার কৃষক। ক্ষেতের ফসল নষ্টকরাসহ বাড়িতে হামলার ভয়ে আতঙ্কিত মানুষ রাত জেগে আগুন জ্বালিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সময় কাটাচ্ছে।

১৯ মে সন্ধা রাত থেকে ২০ মে ভোর রাত পর্যন্ত সীমান্ত এলাকার আধা পাকা , পাকা বোরো ধান ক্ষেতে তা-ব চালায় বন্য হাতির দল। এতে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রায় ১২একর জমির ধান ক্ষেত নষ্ট হয়।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, রাজিবপুরের বালিয়ামারী সীমান্তের আর্ন্তজাতিক মেইন সীমান্ত পিলার ১০৭৩, ভারতের কালাইয়ের চর ও বালিয়ামারী বর্ডার হাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৩০- ৩৫ টি বন্য হাতির দল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে হাতির দলটি রৌমারীর আর্ন্তজাতিক মেইন সীমান্ত পিলার ১০৭০ থেকে ১০৭৩ পর্যন্ত বকবান্ধা, খেওয়ারচর, আলগার চর, লাঠিয়াল ডাঙ্গা, পাহাড়তলী, রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বাজার পাড়া, আদর্শগ্রাম, ব্যাপারি পাড়া, জালচিড়া পাড়া, মিয়াপাড়া এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাবে তা-ব চালিয়ে প্রায় ১২ একর ইরি-বোরো ধানের ক্ষতি সাধন করে। এসময় গ্রামবাসীরা সন্ধা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে থেকে আগুন ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। পরে ভোররাতে হাতির দলটি যে পথ দিয়ে এসেছিল সে পথ দিয়েই ফিরে যায়।

বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফরিজল হক জানান, ৩০/৩৫টি বন্য হাতি ভারতের কালাইয়ের চর ও বালিয়ামারী বর্ডার হাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে সীমান্তবাসি জড়ো হয়ে তাদের উঠতি ফসল ইরি/বোরো ধান যাতে বন্য হাতি ক্ষতি না করে ,তার জন্য চিৎকার, পটকা ও আগুন জালিয়ে তাদের ফসল রক্ষার চেষ্টা চালায়।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, আমি গরীব মানুষ কষ্ট করে ১একর ইরি ধান চাষ করেছি। ভারতীয় বন্য হাতির দল এসে আমার পাকা ধান ক্ষেত অর্ধেক নষ্ট করে ফেলেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গত বছরও ভারতীয় হাতি বাংলাদেশের সীমান্ত গ্রাম গুলোতে প্রবেশ করে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছিল। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *